জেলে ইমরান খানকে যে সুবিধা দেয়া হচ্ছে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নিঃসঙ্গ কারাভোগের দাবির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরোর (এনএবি) আইন সংশোধনকে চ্যালেঞ্জ করে আপিলের শুনানিকালে বৃহস্পতিবার এসব তথ্যপ্রমাণ সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় সরকার। ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি আছেন। পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ প্রধানও তিনি। তাকে ওই জেলখানায় কি কি সুবিধা দেয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে তার কারাকক্ষের ছবি। ইমরান খান দাবি করেছেন তাকে নিঃসঙ্গ কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি ডিভিশন পাচ্ছেন না। এর জবাবে সরকার তাকে দেয়া সুবিধাগুলোর ছবি জমা দিয়েছে। তাতে দেখা যায় তাকে শরীরচর্চা করার জন্য একই এক্সারসাইজ বাইক, একটি স্ট্রেচিং বেল্ট দেয়া হয়েছে।
আছে বই, একটি আলাদা রান্নাঘর, একটি বিশেষ মেন্যু, হাঁটার জন্য আছে একটি এক্সক্লুসিভ গ্যালারি, একটি রুম কুলার এবং একটি পড়ার টেবিল। জেলকক্ষে দেয়া সুবিধার শুধু ছবি এবং নামই আদালতে জমা দেয়নি সরকার, একই সঙ্গে তার সঙ্গে জেলে কে কে তার সাক্ষাৎ করতে গেছেন- তাদেরও নাম জমা দিয়েছে। এ শুনানির সময় জেল থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হন ইমরান খানও। বৃহস্পতিবার আপিলের শুনানি করেন প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বড় একটি বেঞ্চ। শুনানিকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী খাজা হারিসকে তার মক্কেল ইমরান খানকে সাক্ষাৎ করাতে বলেন। ইমরান খান এনএবি’র আইন সংশোধনকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তার আবেদনের বিষয়ে এর আগে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ এনএবি’র আইন সংশোধনকে বাতিল করে দেয়। তাদের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। শুনানিকালে গতকাল পাকিস্তান পিপলস পার্টির আইনজীবী ফারুক এইচ নায়েক সুপ্রিম কোর্টকে বলেন, ওই রায়ের বিভিন্ন পয়েন্ট লিখিতভাবে জমা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের ওপর আমার যুক্তি লিপিবদ্ধ করেছি। প্রধান বিচারপতি ইসা জানতে চান ওই আইনজীবীর কাছে যে, তিনি কি জমা দেয়া ডকুমেন্টে আদালতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন। জবাবে নায়েক বলেন, তিনি বিচারক মানসুর আলি শাহের নোটকে সমর্থন করেন।
No comments