কাতারে ব্লিঙ্কেনের বৈঠক, শঙ্কার মুখে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের প্রস্তাব

চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের হামাস-ইসরাইলের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র হামাসের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে হামাস তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়। কিন্তু হামাসের এসব প্রস্তাব পর্যালোচনার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, হামাসের বেশ কিছু প্রস্তাব ‘অকার্যকর’ অর্থাৎ মেনে নেয়া সম্ভব নয়। এতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন নিয়ে ফের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও মধ্যস্থতাকারী দশেগুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার কাতারের দোহায় হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেন ব্লিঙ্কেন। এসময় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন জাসিম আল থানির সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে দীর্ঘ আলোচনা করেন তিনি। ব্লিঙ্কেন কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে হামাসের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, হামাস এবার বেশ পরিবর্তনীয় একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। এ বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমরা বুধবার মিশর এবং কাতারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে হামাসের পরিবর্তনগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। হামাসের প্রস্তাবে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে যার কিছু কার্যকরী আবার এমন কিছু শর্ত রয়েছে তা মানা যাবে না।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় তিন পর্বের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি ভোট হয় এবং প্রস্তাবটি পাস হয়।
জাতিসংঘে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর ওয়াশিংটন হামাসের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। পরে হামাস মার্কিন প্রশাসনের কাছে তাদের প্রস্তাবের খসড়া দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবে গাজায় স্থায়ী একটি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হলেও এ মুহূর্তে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা পরিষ্কার নয়।

হামাস বরাবরই স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে জোর দিয়েছে। এক্ষেত্রে অস্থায়ী কোনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে নারাজ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ওই সংগঠনটি। হামাস বলছে, কোনো ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর আগে তারা ইসরাইলের কাছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায়। এছাড়া জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে সকল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করার শর্ত দিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপেই গাজার পুনর্গঠনে কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছে যোদ্ধা গোষ্ঠীটি।



No comments

Powered by Blogger.