রিমোট কন্ট্রোলে হামলার ছক কষে জঙ্গিরা

ধামরাইয়ে ঐতিহ্যবাহী উল্টো রথযাত্রায় রিমোট কন্ট্রোল বোমার সাহায্যে হামলার পরিকল্পনা পাকা করেছিল নব্য জেএমবি’র জঙ্গিরা। দেশব্যাপী চলমান জঙ্গিবিরোধী একের পর এক অভিযানের মধ্যেই জঙ্গিরা হামলার ছক কষে। বাদ্যযন্ত্র ঢোলের ভেতরে বোমা রেখে ভিড়ের মধ্যে হামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অপারেশনের দায়িত্ব ছিল মামুন নামে এক জঙ্গির ওপর। দুই জঙ্গি হামলার স্থান পরিদর্শনও করে। সাভারে তারা একটি বাড়িও ভাড়া করেছিল। প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক মজুদের কাজও সম্পন্ন হয়েছিল। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট জঙ্গিদের এ পরিকল্পনা জেনে ফেলায় তা ভেস্তে যায়। সূত্র জানায়, নব্য জেএমবির শূরা সদস্যরা এ হামলার অনুমোদনও দিয়েছিল। শুক্রবার গ্রেফতার নব্য জেএমবির অন্যতম শূরা সদস্য আবদুস সবুর ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নসরুল্লাহ এ সম্পর্কে অবহিত ছিল। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিটিটিসির কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে সিটিটিসির এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, গুলশান হামলার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নব্য জেএমবির অনেক শীর্ষ জঙ্গি নিহত হয়। অনেকে ধরা পড়ে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক আসার পথও বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছিল জঙ্গিরা। এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনের বর্তমান আমীর আইয়ুব বাচ্চু ওরফে লালভাই ওরফে সাজিদ উল্টো রথযাত্রায় বড় ধরনের হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। সক্ষমতা জানান দেয়াই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, পুলিশের সিটি (কাউন্টার টেরোরিজম) ইউনিটের মাধ্যমে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার তথ্য পাই। পরে উল্টো রথযাত্রায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। সিটিটিসি সূত্র জানায়, নব্য জেএমবির আমীর আইয়ুব বাচ্চুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাজিকুল ইসলাম আর্চার হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। মামলার অপারেশনের দায়িত্বে থাকা মামুন তার সাংগঠনিক নাম কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোহেল মাহফুজকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সাত দিনের রিমান্ডের রোববার ছিল দ্বিতীয় দিন। শুক্রবার গভীর রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পুষ্করিণী এলাকার ফজলুর রহমানের আমবাগানের টংঘর থেকে তিন সহযোগীসহ সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

No comments

Powered by Blogger.