একটি গোষ্ঠীর কাছে মাথানত করা হল

সুপ্রিমকোর্ট চত্বর থেকে অপসারিত ভাস্কর্যের নির্মাতা শিল্পী মৃনাল হক বলেছেন, এ ঘটনায় একটি গোষ্ঠীর কাছে মাতানত করা হল, যা সবার জন্য লজ্জার। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার মৃনাল হক যুগান্তরকে বলেন, ‘এতদিন জানতাম গণতন্ত্রের সংস্কৃতিতে আমাদের জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যেখানে এই ধরনের ব্যাপারে কেউ পেছাবে না, আত্মসমর্পণ করবে না বা কারও কাছে মাথানত করবে না। সেই আমরা প্রমাণ করলাম, না, একটা গোষ্ঠীর কাছে তাদের কথা মেনে আমাদের মাথানত করে সরতে হল। এটা একটা লজ্জার ব্যাপার, সবার জন্য।’ সরিয়ে ফেলা ভাস্কর্যটিকে বারবার গ্রিক ভাস্কর্যের তকমা দেয়া হয়েছে। আর শিল্পী মৃনাল হক বারবারই বলে এসেছেন, এটি কোনো গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য নয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে কোথা থেকে গ্রিক এলো? কোনটা গ্রিকের মতো? গ্রিকের কিছুই এখানে নেই। একজন বাঙালি নারী, যে কিনা পেটিকোট, ব্লাউজ,
শাড়ি পরা। হাতে তার চুড়ি। চুল, মুখ শারীরিক সব অবয়ব বাঙালি মেয়ের মতো। গ্রিকের কিছুই এখানে নেই। কোত্থেকে কারা এর মধ্যে গ্রিক দেবী আবিষ্কার করল, সেটা আমি খুঁজে পাই না।’ ভাস্কর্যটির নির্মাণ ও স্থাপন প্রসঙ্গে মৃনাল হক বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্টের লোগো হিসেবেই এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। একজন বিচারপতির যে লোগো সাধারণত আমরা দেখি, সেটি থেকেই এই ভাস্কর্য। সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃপক্ষই আমাকে এই ভাস্কর্যটি নির্মাণের ব্যাপারে বলেন। আমি তাদের অর্ডার অনুযায়ী ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ভাস্কর্যটি স্থাপিত হয়।’

No comments

Powered by Blogger.