শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেবে তুরস্ক: এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তায়িপ এরদোগান বলেছেন, প্রয়োজন হলে সিরিয়ার হাজার হাজার শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় সরকারি বাহিনী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে গত শুক্রবার থেকে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। আর এ অভিযান থেকে বাঁচতে হাজার হাজার সিরীয় শরণার্থী তুরস্ক সীমান্তে পালিয়ে এসেছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। শনিবার সেনেগাল থেকে ফেরার পথে বিমানে সাংবাদিকদের এরদোগান বলেন, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর একটি অংশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তুরস্ক এখন হুমকির মুখে রয়েছে। তিনি বলেন, তারা যদি আমাদের দরজায় এসে পৌঁছায় এবং তাদের আর কোন উপায় না থাকলে প্রয়োজন হলে আমাদের ভাইদের জন্য দরজা খুলে দেয়া হবে। তুরস্কের সীমান্তবর্তী প্রদেশ কিলিসের গভর্নর সুলেইমান তাপসিজ শনিবার বলেন, গত ৪৮ ঘন্টায় সীমান্ত এলাকায় আসা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার শরণার্থীকে সেবা করছে তুরস্ক। ইতোমধ্যে দেশটিতে ২০ থেকে ২৫ লাখ সিরীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, আলেপ্পোতে রাশিয়ার বিমান হামলা ও সিরিয়া সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকলে আরো ৭০ হাজার সীমান্ত এলাকায় আসতে পারে। এএফপির এক সংবাদদাতা জানান, তুরস্কের অনকুপিয়ার সীমান্ত ক্রসিং এলাকায় তৃতীয় দিনের মত হাজার হাজার শরণার্থী জড়ো হয়েছে। তবে সীমান্ত এখনও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তুরস্কের এক কর্মকর্তা বলেন, তবে জরুরী পরিস্থিতিতে সীমান্ত খোলা হচ্ছে। শুক্রবার আহত সাতজনকে তুরস্কে ঢুকতে দেয়া হয়েছে এবং তাদের একজনকে শনিবার তুরস্কের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলাত কাভুসোগলু শনিবার বলেন, সিরীয় শারণার্থীদের জন্য তার দেশ সীমান্ত খুলে রাখার নীতি গ্রহণ করবে।

No comments

Powered by Blogger.