সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সহায়ক হবে না

নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক গত দেড় বছরে শক্তিশালী হয়েছে। বাস্তবায়িত হয়েছে ঐতিহাসিক ইন্দো-বাংলাদেশ স্থল সীমান্ত চুক্তি। ভারতের পূর্বের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে এ চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পার্লামেন্টে তৎকালীন বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি ও পশ্চিম বঙ্গ সরকারের বিরোধীতার কারণে তা আর হয়নি। সৌভাগ্যবশত, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই বিলটি এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে হাজার হাজার নাগরিক স্বাভাবিক অঞ্চলে বসবাস করতে পারছেন, কোনো ছিটমহলে নয়। ঢাকা ও দিল্লি ট্রান্সশিপমেন্টের সম্পর্ক নিয়ে সামনে এগিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে করিডোর বা নতুন আন্তঃসীমান্ত পরিবহণ চুক্তি।
কিন্তু ঢাকার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিপর্যয় ও সন্ত্রাসী হামলার ফলে ইতিবাচক অগ্রগতি সাথে হয়ে যেতে পারে। গত বসন্তে ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগারদের হত্যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিল প্রথম। সেপ্টেম্বরের শেষে ও অক্টোবরের প্রথমে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই বিদেশী খুন হয়। ২৪ই অক্টোবর ঢাকায় শিয়া মিছিলে বোমা বিস্ফোরিত হয়। স্বঘোষিত ইসলামি স্টেট বা আইএস এর দায় স্বীকার করে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এ ধারণা প্রত্যাখ্যান করে। বরং জানিয়ে দেয়, সহিংসতা অবশ্যই ঘরোয়া বিরোধী দলের কাজ। গত সপ্তাহান্তে বাংলাদেশী প্রকাশকদের হত্যাকা- উদ্বেগের পরিবেশ আরও ভারী করে তোলে।
তবে এ হত্যাকা- ব্যবসা-বাণিজ্যকে কতটা ক্ষতিগ্রস্থ করবে, তা পরিষ্কার নয়। কিন্তু এসব সহায়ক হবে না। অর্থনৈতিক অগ্রগতির বদলে বাংলাদেশের নিজস্ব নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হয়।
(কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশন্স ও ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত লেখার অনুবাদ)

No comments

Powered by Blogger.