সিগারেটের প্যাকেট ও জর্দার কৌটায় সতর্কতা

আগামী বছরের ১৬ মার্চ থেকে সিগারেটের প্যাকেট ও জর্দার কৌটায় যে সচিত্র সতর্কবাণী যুক্ত হচ্ছে, এর নমুনা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে। ওয়ার্ল্ড লং ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ব্রেইন মিডিয়া ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নমুনাগুলো দেখান। তিনি নিজেদের ও পরিবারের কথা ভেবে ধূমপায়ীদের এখনই ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সরকার ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে এবং ২০১৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা প্রকাশ করে। আইনের বিধিমালা অনুসারে সব তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের দুই পাশে ছবিসহ সতর্কবাণী ব্যবহার হবে। সিগারেটের প্যাকেটে মোট সাতটি সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী থাকছে। ব্রেইন মিডিয়া ক্যাম্পেইনে ব্যবহার হবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ছবিটি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৪৫ শতাংশ পুরুষ ও দুই শতাংশ মহিলা ধূমপান করেন। ধূমপানে আসক্ত কমপক্ষে তিন শতাংশ ছেলে ও এক শতাংশ মেয়ে। প্রতিদিন আড়াই কোটি প্রাপ্তবয়স্ক লোক ধূমপান করে। প্রতিবছর স্ট্রোকসহ বিভিন্ন তামাক ব্যবহারজনিত রোগে ৯২ হাজার লোক মারা যায়। এ চিন্তা থেকেই ধূমপান রোধে আইন ও বিধিমালা করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তির সময় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে অধূমপায়ীর সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন মোহাম্মাদ নাসিম।
ভর্তি পরীক্ষায় পাসের পরও শিক্ষার্থী যদি ধূমপায়ী হন, তবে তাঁকে ভর্তি করা হবে না—এমন বিধান রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজকে ধূমপানমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৫ সালে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ ৬২টি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজেট বরাদ্দ করেছে। জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্য, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার ও জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টরসহ ৫০০ লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে গত নয় মাসে প্রায় ৮০০ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.