মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রথম নারী গ্রাজুয়েট

মার্কিন সেনাবাহিনীর চৌকস রেঞ্জার স্কুল থেকে কঠিন প্রশিক্ষণ শেষে প্রথমবারের মতো গ্রাজুয়েট হচ্ছেন দুই নারী। তারা বৃহস্পতিবার বলেছেন, তারা আশা করেন, তাদের সফলতায় সম্মুখ সমরে নারীদের চাকরির দরজা উন্মুক্ত হবে। লেফটেন্যান্ট শ্যায়ে হ্যাভার ও ক্যাপ্টেন ক্রিস্টেন গ্রিস্ট শুক্রবার রেঞ্জার স্কুল থেকে øাতক হয়ে বের হলেন। তারা প্রথম নারী কমবেট নেতা হিসেবে তাদের ইউনিফরমে প্রবল ইপ্সিত ট্যাগ সংযুক্ত করেন। মার্কিন সেনাবাহিনী বর্তমানে কিছু সম্মুখ পদাতিক বাহিনী ও বিশেষ বাহিনীসহ বেশকিছু সেনা ইউনিটে নারীদের ভূমিকা উন্মুক্ত রাখার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এসেছে। দুই তরুণ কর্মকর্তা কয়েক মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমকে বলেন,
তারা আশা করেন, তাদের উদাহরণ নারীদের এ অবস্থানে আসার ব্যাপারে প্রভাবিত করবে। গ্রিস্ট (২৬) বলেন, আমার আশা যে, সামরিক বাহিনীতে নারীদের কাছ থেকে যা প্রত্যাশা করা হয় সে ব্যাপারটি অবগত করতে আমরা সমর্থ হয়েছি। তিনি বলেন, একইভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সমস্যার সমাধানে আমরা সমর্থ হব পুরুষদের মতোই। রেঞ্জার স্কুলে কমপক্ষে ৬১ দিনের প্রশিক্ষণ হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গ্রিস্ট ৪ মাস দৈনিক ৪ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি ৯০ পাউন্ড (৪১ কিলোগ্রাম) বোঝা ও অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের পাইলট হ্যাভার স্বীকার করেন, প্রশিক্ষণ ছেড়ে দেয়ার কথা ভেবেছেন। এ দুই নারীর সঙ্গে ৯৪ জন পুরুষ রেঞ্জার স্কুল থেকে øাতক হচ্ছেন। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.