‘সেলফি স্টিক’ জীবন বিপন্নকারী ও রক্ষাকারীর যৌথ ভূমিকায়

সম্প্রতি ‘সেলফি স্টিক’ বা সেলফি তোলার সুবিধার্থে ব্যবহৃত দীর্ঘ ছড়ি বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ব্যাপক সমালোচিত এই ছড়ি এবার এক কিশোরীর প্রাণ বাঁচাতেও কাজে এলো। এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে। সেলফি স্টিক না থাকলে তাকে বাঁচানো যেতো না বলেই মনে করা হচ্ছে। অবশ্য, একটি কথা হয়তো কারও কারও দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। এ সেলফি স্টিকের কারণেই তো ওই কিশোরীর এমন পরিণতি! পরবর্তীতে, ওই ছড়ি ত্রাণকর্তার ভূমিকায়ও কেরামতি দেখালো। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস। এরিন জন্স নামে ১৬ বছরের ওই কিশোরী টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ন্যানটাকেট সমুদ্র সৈকতে সেদিন পিতামাতার সঙ্গে সাঁতার কাটছিলো সে। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে এ ভ্রমণ। একটি গো প্রো ক্যামেরা ও একটি সেলফি স্টিকের সাহায্যে মেয়েটি নিজেদের ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। সমুদ্রের পানিতে দাঁড়িয়ে সেলফি স্টিকে গো প্রো ক্যামেরার সাহায্যে ছবি তোলার এক পর্যায়ে হঠাৎ ঢেউ আর পানির তীব্র স্রোতে সে তলিয়ে যায়। এবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সে তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলছিল, সে সময় আমি প্রচুর পানি গিলে ফেলেছিলাম এবং পানির তলায় আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না। পিতা ডেরিক জন্স মেয়ের হাতে থাকা সেলফির অপর মাথা দৃঢ়ভাবে ধরে তাকে পানিতে ভাসিয়ে রাখতে এবং পানির ওপর তুলে আনার চেষ্টা করতে থাকেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তিনিও প্রবল স্রোতে তলিয়ে যান। এদিকে কোনক্রমে এরিন সৈকতে উঠে আসতে সক্ষম হয়। সমুদ্র সৈকতের দায়িত্বে থাকা লাইফগার্ড বা জীবন রক্ষাকারী দলের সদস্য ও আশপাশের মানুষজন দৌড়ে এরিনের পিতা ডেরিকের সাহায্যে এগিয়ে যান। ডেরিক বলছিলেন, আমি নৌবাহিনীর সঙ্গে কয়েকটি সমুদ্র অভিযাত্রায় অংশ নিয়েছি। কিন্তু, কখনও এ ধরনের অবসন্নতা ও ক্লান্তি বা আতঙ্কে কখনও ভুগিনি। আমি প্রায় অচেতন ছিলাম এবং তারা যখন আমাকে ট্রাকে তুললো, তখন তারা বললেন আমার দেহে অক্সিজেনের মাত্রা একেবারে কমে গিয়েছিল।

No comments

Powered by Blogger.