কলেজে আসনসংখ্যা নির্ধারণ by মো. শরীফুর রহমান

উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির জন্য সরকার এবার দুটি পদ্ধতির কথা বলেছে। এর প্রথমটি হলো কলেজগুলোতে নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারণ। আর দ্বিতীয়টি হলো অনলাইনে একসঙ্গে পাঁচটি কলেজে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ।
তবে এ রকম সুযোগ পাওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট, সময় এবং অর্থ বাঁচানো সম্ভব হলেও বিপত্তি ঘটে অন্য জায়গায়। প্রথমত, এমন অনেক কলেজ আছে, যেগুলোর বয়স সবে এক বা দুই বছর। সেখানে নেই অবকাঠামো, নেই দক্ষ শিক্ষক বা কলেজের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। সদ্য অনুমোদন পাওয়া এবং অপ্রতিষ্ঠিত ও প্রতিষ্ঠিত কলেজে সমপরিমাণ শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা দেওয়া কীভাবে সম্ভব? এই সুযোগে বিভিন্ন নামহীন কলেজ কূটকৌশল করে শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির চেষ্টা করছে।
এমন অনেক কলেজ আছে, যেগুলোর বয়স সাত-আট বছর হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো এমপিও পায়নি। অথবা তাদের কলেজ থেকে কেউ এখনো এ+ পায়নি। অনলাইনে শিক্ষার্থীরা পাঁচটি কলেজ নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু যদি সে ওই পাঁচটি কলেজের একটিতেও ভর্তি হতে না পারে, তবে তার ভর্তির বিষয়টি থাকবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এতে শিক্ষার্থীকে নানা সমস্যায় পড়তে হতে পারে। উপর্যুক্ত সমস্যাসমূহ সমাধানের কতগুলো পথ রয়েছে, যেমন-
১. শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করবে।
২. আবেদন করার সময় জন্মতারিখ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে। ভর্তির জন্য আবেদন ফরমে পেশকৃত তথ্য বোর্ডে সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে মেলানোর ব্যবস্থা করা।
৩. আবেদনের পরবর্তী কালে মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্পাদনা করার ব্যবস্থা রাখা।
৪. নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করার সময় সিরিয়াল-ভিত্তিক রেজিস্ট্রেশন না করে এলোমেলোভাবে করতে হবে। এতে বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার যে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তা রোধ করা যাবে।
আর কোটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত আর সদ্য প্রতিষ্ঠিত কলেজ, শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষকের মান, ভৌত অবকাঠামো, কলেজ প্রতিষ্ঠার সময়, জনসংখ্যা, শিক্ষার্থী, যোগাযোগব্যবস্থা, জনমত প্রভৃতি বিবেচনা করা উচিত।
লেখক: শিক্ষক, ফেনী।

No comments

Powered by Blogger.