‘গুপ্তচরদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল যুক্তরাজ্য’ -স্নোডেনের তথ্য ফাঁসের জের

রাশিয়া ও চীনের হাতে গোপনীয় দলিলপত্র চলে যাওয়ায় যুক্তরাজ্য বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গুপ্তচরদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল। সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকা সানডে টাইমস গতকাল রোববার এ কথা জানিয়েছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) সাবেক চুক্তিভিত্তিক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন যেসব কাগজপত্র ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলেন, ওই দলিলগুলো তারই অংশ। খবর এএফপি ও বিবিসির।
সানডে টাইমস পত্রিকা জানায়, স্নোডেনের হাতিয়ে নেওয়া বিভিন্ন সাংকেতিক দলিলের পাঠোদ্ধার করেছে মস্কো ও বেইজিং।
সরকারি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, একাধিক দেশের হাতে তথ্য চলে যাওয়ার কারণে গুপ্তচরদের প্রত্যাহার করা হয়। তবে তাঁদের কারও ক্ষতি হয়েছে—এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র গোয়েন্দা কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত ওই সংবাদের ব্যাপারে এএফপির কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। আর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা এসব খবর নিশ্চিত বা অস্বীকার—কোনোটিই করতে পারে না।
সানডে টাইমস আরও জানায়, অন্যান্য সরকারি সূত্র দাবি করেছে, চীনের কাছে চলে যাওয়া ওই গোপন নথিপত্রের মধ্যে মার্কিন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা কৌশল সম্পর্কে অনেক তথ্য রয়েছে। তাই ব্রিটিশ গোয়েন্দারা চিহ্নিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একটি গোয়েন্দা সূত্র মন্তব্য করেছে, রাশিয়া ও চীন বছরের পর বছর ধরে গোয়েন্দা নথিপত্রগুলো ঘেঁটে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সূত্র খুঁজবে।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিনা কারণে স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেননি। মার্কিন প্রশাসনও আগেই স্নোডেনকে একজন হ্যাকার এবং দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও অভিযোগ করেছে, তিনি এনএসএর নজরদারি কর্মসূচির তথ্য ফাঁস করে অনেকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন।
স্নোডেন দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলোর নজরদারির গোপন নথিপত্র ফাঁস করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চীনের হংকং হয়ে বর্তমানে রাশিয়ায় রয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.