স্মরণ : স্মৃতির পাতায় খোন্দকার দেলোয়ার

১৬ মার্চ ২০১৫। অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। তার কথা মনে হলেই দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে ভেসে ওঠে একজন সাহসী মানুষের মুখ। যিনি নিজের জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশের গণতন্ত্র রা করতে তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও কিছু উচ্চাভিলাষী সেনাকর্মকর্তার রক্তচুকে উপো করে দেশের জন্য কাজ করেছেন, বিএনপিকে রা করতে কাজ করেছেন।
আমরা শুনেছি, তার ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে এবং এর ভিডিওচিত্র তাকে দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছেÑ এক-এগারোর দোসরদের কথা না মানলে ছেলেকে মেরে ফেলা হবে। তার ডাক্তার মেয়েকে বারডেম থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল, তিনি নিজে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন তাকে বারবার চাপ দিয়েছে তাদের লেখা বিবৃতিতে স্বার করতে, তখন তিনি অসুস্থতার কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবু মাথা নত করেননি। সেই বীর আমাদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেছেন আজ চার বছর হলো। হয়তো তার চেয়ে কর্মদ মহাসচিব বিএনপির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাবেÑ খোন্দকার দেলোয়ারের মতো দুর্দিন মোকাবেলা করার সাহস সবার হবে কি না?
এক-এগারোর দুঃসময়ে দায়িত্ব নেয়ার পরে দলকে সংগঠিত করতেই তার সব সময় চলে যায়। ঢাকার বাইরে কোনো সাংগঠনিক সফর বা জনসভা করার সুযোগই তিনি পাননি। জীবনের একেবারে শেষ সময়ে এসে ঢাকার বাইরে মহাসচিব হিসেবে জীবনের প্রথম ও শেষ জনসভাটি করেছেন নারায়ণগঞ্জে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা বিভাগীয় যুব মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় তার মৃত্যুর প্রায় দেড় মাস আগে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১। যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। যুব মহাসমাবেশে আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব ছিল আমার। আমার সৌভাগ্য খোন্দকার দেলোয়ারের জীবনের শেষ জনসভায় আমি তার নামটি ঘোষণা করতে পেরেছিলাম।
জেলাপর্যায়ের একজন রাজনৈতিক কর্মী হয়েও ঘটনাচক্রে দলের মহাসচিবের সাথে সাাৎ করা, কথা বলা ও তার অনুষ্ঠান পরিচালনা করা আমার রাজনৈতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, যা জীবনে কোনো দিন ভুলব না।
এ দেশের সব মানুষ ও জাতীয়তাবাদী শক্তির হৃদয়ে সর্বদা খোন্দকার দেলোয়ার জাগ্রত থাকবেন। গণতন্ত্র রায় তার ত্যাগ আমাদের আগামী দিনের পথচলার পাথেয় হবে।
মাকছুদুল আলম খন্দকার

No comments

Powered by Blogger.