সব মহলের ‘হ্যাঁ’ বনাম সরকারের ‘না’ by জি. মুনীর

গুণীজনদের বলতে শুনেছিÑ একটা মিথ্যা হাজারো মিথ্যার জন্ম দেয়। তেমনি একটা ভুল হাজারো ভুলের জন্ম দেয়। তবে কোনো ভুল হয়ে গেলে সে ভুল স্বীকার করে নিয়ে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পথ চললে নতুন করে ভুল সৃষ্টির পথ বন্ধ হয়ে যায়। একই ধরনের কথা চালু আছে কোনো সঙ্কট বা সমস্যার ব্যাপারে। একটি সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়ার প্রথম কাজ হচ্ছে সমস্যা আছে, এ কথা স্বীকার করা এবং এমনটি স্বীকার করে নিয়ে নির্মোহভাবে এ সমস্যার কারণ চিহ্নিত করা। কোনো সমস্যার কারণ যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে পারলে, বলা হয় সমস্যাটির সমাধানের পথে অর্ধেক এগিয়ে যাওয়া সম্পন্ন হয়ে যায়। আর সমস্যার কারণ দূর করার কার্যকর পদক্ষেপ নিলে সমস্যার বাকি অর্ধেক সম্পন্ন হয়। তখন হাতের মুঠোয় আসে গোটা সমস্যা বা সঙ্কটের সমাধান। কথাগুলো বলা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সময়ের সাথে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। কিন্তু এর সমাধানের কোনো উপায়ই দৃশ্যমান হচ্ছে না। মানুষ জানতে-বুঝতে পারছে নাÑ কবে হবে এর সমাধান কিংবা কী হবে এর পরিণতি। এর বড় কারণ দেশে চালকের আসনে থাকা সরকারপক্ষ দেশে কোনো সমস্যা আছে, এমনটিই স্বীকার করছে না। ফলে এ সমস্যা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে আরো নতুন নতুন সমস্যা। সমস্যা আরো জটিল হয়ে রূপ নিচ্ছে সঙ্কটে; অথচ দেশের ভেতর ও বাইরের সব মহল বলছে, দেশ আজ গভীর সঙ্কটে নিপতিত। গোটা দেশ আজ অচলপ্রায়। দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্য, কৃষি-শিল্প, অর্থনীতি ধ্বংসের পথে। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। দেশে বিরাজ করছে চরম রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা। দেড় মাসাধিক সময় ধরে ভোটের অধিকার ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে সরকারবিরোধীদের অব্যাহত অবরোধ কর্মসূচি ও থেমে থেমে হরতাল চলছে। আন্দোলনকারী ২০ দলীয় জোট বলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবেই। প্রয়োজনে আসবে আরো কঠোর কর্মসূচি। এই আন্দোলনের শুরু থেকেই চলছে দৃশ্যমান সহিংসতা। পেট্রলবোমায় পুড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, কেউ কেউ পোড়া ক্ষত নিয়ে কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বেডে। তাদের পরিবারের সামনে অন্ধকার ভবিষ্যৎ। কিন্তু এই মানুষ পোড়ানোর দায় আন্দোলনকারীরা নিচ্ছে না। তারা বলছে, আন্দোলনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার জন্য সরকারের এজেন্টরাই যানবাহনে পেট্রলবোমা ছুড়ে মানুষ মারছে, আর দোষ চাপাচ্ছে ২০ দলের ওপর। কিন্তু সাধারণ মানুষ থাকছে এ ব্যাপারে পুরোপুরি অন্ধকারে। এরা শুধু এর সহজ শিকারে পরিণত হচ্ছে। অপর দিকে সরকারপক্ষ বিরোধীদের চলমান এই সহিংসতার জন্য ২০ দলীয় জোটকে দায়ী করে তা কঠোর হাতে দমনের অবস্থান নিয়েছে। সারা দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, গণগ্রেফতার চলছে। করা হচ্ছে মনগড়া নানা মামলা। আসামি করা হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। চলছে যৌথবাহিনীর অভিযান। একই সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বিরোধী নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার ঘটনাও চলছে সমান্তরাল। সরকারবিরোধী ২০ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের কার্যালয়ে নেতাকর্মী বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এমনকি তার কার্যালয়ে খাবার যেতেও বাধা দেয়ার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রচার হতে দেখা যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে চলছে সরকারি দলের নেতাদের নানা অশোভন বিষোদগার। কিন্তু চলমান এই রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হচ্ছে না। বন্ধ হচ্ছে না সহিংসতা। সরকার বারবার বলছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। বাস্তবে বেড়েই চলেছে জনদুর্ভোগ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ-জাতি। বিদেশী গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
দেশের বিবেকবান মানুষ এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। তারা বলছে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করতে হবে। কিন্তু সরকার দেশে কোনো রাজনৈতিক সমস্যা বা সঙ্কট আছে, তা স্বীকারই করতে চাইছে না। বরং বলা হচ্ছে, এখন যা চলছে তা আইনশৃঙ্খলাজনিত একটি সমস্যা মাত্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়ে তা অচিরেই সমাধান করবে। আর যারা আজ অবরোধ কর্মসূচির নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলছে, তারা সন্ত্রাসী। তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়, সরকারপক্ষ বলছে, বিএনপি নেত্রীর সাথে কোনো সংলাপ-সমঝোতা নয়। কারণ, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী জঙ্গি সংগঠন। আর বেগম খালেদা হচ্ছেন সন্ত্রাসের রানী, জঙ্গি নেত্রী। জানি না, দেশের ও দেশের বাইরের মানুষ এ সমালোচনা কতটুকু বিশ্বাস করছে কিংবা আমলে নিচ্ছে। তবে সরকারপক্ষ প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দেশে ও দেশের বাইরেও বেগম খালেদা জিয়া ও তার দলকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার সর্বাত্মক প্রয়াস এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, বেগম জিয়ার কারণেই আজ দেশে নানা বিশৃঙ্খলা, এই সন্ত্রাস ও সহিংসতা। এদের নির্মূল করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। দেশে আর কোনো সমস্যা নেই। সরকার দেশকে শুধু উন্নতির দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়েছে।
সমস্যাটি এখানেই। আমরা স্বীকার করতে চাচ্ছি না, আজকের সমস্যার সূচনা কিন্তু বহুল আলোচিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন। সারা দুনিয়া বলছে, এটি ছিল একটি অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কেননা, এতে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। দেশের দুই-তৃতীয়াংশ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বয়কট করেছে। এই তো দুয়েক দিন আগে একটি আন্তর্জাতিক জরিপে বলা হয়েছে, ওই নির্বাচন ছিল একটি ‘ব্যর্থ নির্বাচন’। খবরে প্রকাশ, নির্বাচনী শুদ্ধতা প্রকল্প (ইলেকটোরাল ইন্টেগ্রিটি প্রজেক্টÑ ইআরপি) নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বাংলাদেশের নির্বাচনকে একটি ‘ব্যর্থ নির্বাচন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ প্রকল্প পরিচালিত হয়। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিশ্বের ১০৭টি দেশের ১২৭টি নির্বাচনের ওপর পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে এরা নির্বাচনী শুদ্ধতার ধারণাসূচক (পারসেপশন অব ইলেকটোরাল ইন্টেগ্রিটিÑ পিইআই) প্রকাশ করে। ওই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম।
জরিপ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়Ñ অনেক পর্যবেক্ষকই বলছেন, সমকালীন নির্বাচনগুলোতে আন্তর্জাতিক মান রক্ষায় ঘাটতি ছিল। তাদের মতে, সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা গেছে নির্বাচিত স্বৈরশাসনগুলোতে তথা ইলেকটেড অটোক্র্যাসিগুলোতে। দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতার খোলস থাকলেও সেসব নির্বাচনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এতে বলা হয়, ব্যর্থ এসব নির্বাচনের ফলে নির্বাচিত কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসে ক্ষয় ধরে, ভোটার উপস্থিতি কমে যায় এবং সরকারের স্থিতিশীলতা দুর্বল হয়ে পড়ে।
সদ্যপ্রকাশিত এই জরিপের গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল অংশে অনেক ব্যর্থ নির্বাচন বড় ধরনের বিপদ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। যেসব দেশের ব্যর্থ নির্বাচন ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সবার আগে। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘ফল হিসেবে ১৫৩টি আসন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানত আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। এই নির্বাচনে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু ও শতাধিক ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিএনপিসহ প্রধান দলগুলো নিরপেক্ষ নির্বাচনী ব্যবস্থার দাবিতে ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। সরকার সে দাবি না মেনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে এই বর্জনের মুখেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পন্ন করে। একই সাথে বলে, এ নির্বাচনের পর সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ এবং জাতিসঙ্ঘও নির্বাচনের আগে ও পরে বলে আসছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নয়। তাই যথাসম্ভব দ্রুত সব দলের অংশগ্রহণে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। কিন্তু সরকার নির্বাচনের পরপরই সে অবস্থান থেকে সরে গিয়ে পুরো পাঁচ বছর মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কথা ঘোষণা করে। সেই সাথে আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে সরকারবিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখে। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশ করা ও অবাধে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটসহ সরকারের বাইরে থাকা দলগুলো দ্রুত সংলাপের মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি তোলে। দাবি না মানলে এরা রাজপথের আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলে বারবার সরকারকে জানিয়ে দেয়। এভাবে কাটে গোটা ২০১৪ সাল। কিংবা তা মোটেও আমলে না নেয়ার প্রেক্ষাপটে আজকের এই আন্দোলন, এই অবরোধ কর্মসূচি, বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কট।
সরকার এ সঙ্কটকে সঙ্কট মনে করছে না। এ সঙ্কটের পথ ধরে চলা আন্দোলনকে কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন বলতে নারাজ। এমনটি বলে সরকার রাজনৈতিক সংলাপের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করছে। অথচ আমরা দেখছি, সবাই বলছে দেশে এক চরম রাজনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে। এর একটি আশু সমাধান দরকার। আর এ জন্য দরকার সংলাপের। শুধু দেশের মানুষই নয়, বিদেশীরাও একযোগে সংলাপের কথাই বলছে। বলছে, সংলাপই এর একমাত্র শান্তিপূর্ণ সমাধান। এরই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই গত শনিবারের দৈনিক প্রথম আলোর শীর্ষ সংবাদের একটি যথার্থ শিরোনামে। ওই শিরোনামটি ছিল : ‘সমাধান সংলাপে বিদেশীরা সরব, আওয়ামী লীগের না, বিএনপি উন্মুখ’। চলমান সহিংসতার নিন্দা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা বন্ধের লক্ষ্যে সংলাপের উদ্যোগ নিতে গত কয়দিনে সরকারের ওপর চাপ বেড়েছে। এ ব্যাপারে যারা কূটনৈতিক ভাষায় অনুরোধ বা আহ্বান জানিয়েছেন তাদের পুরোভাগে আছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বান কি মুন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় পার্লােেন্টর সদস্যরা। সংলাপের ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘ যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট। একইভাবে এই জোট নাগরিকদের পক্ষ থেকে নেয়া সংলাপ উদ্যোগকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। কিন্তু সরকারপক্ষ সংলাপে অনীহ, বরং সরকারি দলের নেতারা সুশীলসমাজের উদ্দেশে বলছেন, যারা সংলাপের কথা বলে তারা দেশের শত্রু। এরা এক-এগারোর কুশীলব।
এমনি পেক্ষাপটে সরকারকে বলব, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলে পুরো পাঁচ বছর মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার অনড় অবস্থান হবে এ সরকারের জন্য একটি বড় মাপের ভুল। এ অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। কেউই বলছে না, এটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছিল, দেশের কিংবা দেশের বাইরের যাকেই আনুন না কেন। অস্বীকার করার উপায় নেই, সরকারের জন্য অপ্রিয় সত্য হচ্ছেÑ দ্রুত সব দলের অংশগ্রহণে সব মহলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন নিশ্চিত করার মধ্যেই নিহিত আজকের সঙ্কটের সমাধান। ভিন্ন কিছু এর সমাধান এনে দেবে না। শুধু বাড়াবে জাতীয় দুর্ভোগ আর বিপর্যয়। অতএব, সে লক্ষ্য অর্জনে চাই দ্রুত একটি জাতীয় সংলাপ, যেমনটি দাবি দেশী-বিদেশী সবার, সব দলনিরপেক্ষ বিবেকবান সচেতন মানুষের।

No comments

Powered by Blogger.