বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বিস্তৃত by ড. পবিত্র সরকার -সাক্ষাৎকার গ্রহণে অজয় দাশগুপ্ত

ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের সন্তান পবিত্র সরকার। উচ্চতর শিক্ষা নিয়েছেন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন ১৯৯০ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। এরপর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য উচ্চশিক্ষা পর্ষদে ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন ৬ বছর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন ২৭ বছর। তিনি এ পর্যন্ত অন্তত ৬৪টি বই লিখেছেন। সম্পাদনা গ্রন্থসংখ্যা ৪৫টি। নাটক লিখেছেন। অভিনয়ও করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে বাংলাদেশ সরকার সম্মানিত করেছে। ঢাকায় এসেছেন আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে। সমকালের সঙ্গে কথা বলেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে
সমকাল :বাংলা একাডেমির গ্রন্থমেলায় এসেছেন। কেমন দেখছেন ঢাকা?
পবিত্র সরকার :আমি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ের সন্তান। জন্মস্থান সাভারের বালিয়ারপুর। আর পোষ্যপুত্র হিসেবে বেড়ে ওঠা ঠাকুরবাড়ি পঞ্চাশ গ্রামে। এখানের অনেক কিছুই পরিচিত। প্রিয়জনের সানি্নধ্যে আসতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে।
সমকাল : নিয়মিত আসা-যাওয়ার কথা বললেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে, নাকি কেবলই বেড়াতে?
পবিত্র সরকার :ধামরাইয়ে আমার যমজ বোন থাকে। এক সময় আমরা দুই দেশের বাসিন্দা হয়ে পড়ি। আমি ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া অবস্থাতে পশ্চিমবঙ্গে চলে যাই। স্কুলটি ছিল নয়ারহাটের কাছে। আমার বোন লীলার মাত্র ১২ বছর বয়সেই বিয়ে হয়ে যায়। এখন সে ধামরাইয়ের কাছেই পুত্রবধূ ও দুটি নাতি নিয়ে থাকছে।
সমকাল :বোনের সঙ্গে ভিন দেশের নাগরিক হিসেবে প্রথম কবে দেখা?
পবিত্র সরকার :আশির দশকের শুরুতে সে ভারতে এলে দেখা হয়। মাঝে তিন দশকেরও বেশি সময় বয়ে গিয়েছে...।
সমকাল :তারপর?
পবিত্র সরকার :আবারও তিন দশক পর। ২০০৯ সালে আমি বাংলা একাডেমির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসি। তখন বোনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ খুঁজছিলাম। শামসুজ্জামান খান সাহেবকে বোনের গল্প বলি এবং মনোবাসনা ব্যক্ত করি। তিনি যে এত দ্রুত সবকিছু আয়োজন করে ফেলবেন, সেটা বড় বিস্ময়ের। একটি বড় গাড়িতে আমরা কয়েকজন মিলে বোনের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম।
সমকাল :বাংলাদেশের সঙ্গে কাজের কোনো সূত্র রয়েছে?
পবিত্র সরকার : হ্যাঁ, অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একটি ব্যাকরণ গ্রন্থ সম্পাদনা করছি। বাংলাদেশ কেমন লাগছে, সে প্রশ্নে বলি_ এখানের বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে মেলামেশার তেমন সুযোগ হয় না। মুসলিম ও হিন্দু উভয় ধর্মের শিক্ষিত সমাজের সঙ্গেই বেশি জানাশোনা। আবার মধ্যে মুসলিমই বেশি। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে মনন-মানসে খুব একটা পার্থক্য আমাদের চোখে পড়ে না। তবে বাংলাদেশ যেহেতু স্বাধীন রাষ্ট্র, এখানের মানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বিস্তৃত। তারা সহজেই ভাবতে পারে যে, দেশের ভেতরে উচ্চশিক্ষা নেবে কিংবা বাইরে গিয়ে পড়বে অথবা নিজের ভাগ্য গড়বে। তারপর পরিবারের কাছে ফিরে আসবে এবং দেশের কাজে লাগবে।
সমকাল : শিক্ষিতদের পাশাপাশি সামান্য লেখাপড়া জানা কিংবা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিতরাও কিন্তু বাইরে যাচ্ছে...।
পবিত্র সরকার :চট্টগ্রাম ও সিলেটের লোকেরা অনেক আগে থেকেই বাইরে যাচ্ছেন। এখন তো বাংলাদেশের ৮০-৯০ লাখ লোক দেশের বাইরে। তাদের পাঠানো অর্থ এখানের অর্থনীতির বড় ভিত এনে দিচ্ছে। দেশের গণ্ডি অতিক্রম করা মানেই পৃথিবীর বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা, জীবনের ব্যাপ্তি বুঝতে পারা। অনেকে কঠিন পরিবেশে কাজ করছে। ফেসবুকে প্রবাসে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কষ্টের জীবন দেখি। সৌদি আরবে কয়েক বছর বাংলাদেশের লোক যেতে পারেনি, সেটাও দেখেছি। এখন সে বাজার খুলে গেছে।
সমকাল :এখানে মূলত মধ্যবিত্ত সমাজের সঙ্গে মেলামেশা আপনার...।
পবিত্র সরকার :হ্যাঁ, তবে খানিকটা বিব্রতকর। তাদের আতিথ্য আমাকে অপ্রস্তুত করে। অতিথিপরায়ণ মানুষদের যতই দেখছি, মুগ্ধ ও অভিভূত হই। 'ঢাকার টুকিটাকি' নামে একটা বই আছে আমার। সেখানে বলেছি_ খাইয়ে খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা হয় ঢাকায়। বলতে পারেন আন্তরিকতার আতিশয্য, যা পশ্চিমবঙ্গে পাই না।
সমকাল :বাংলাদেশের সাহিত্য প্রসঙ্গে আসি...।
পবিত্র সরকার :মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বেশি প্রকাশ পায়। পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য বড় নগরকেন্দ্রিক, মধ্যবিত্তের অতিরিক্ত প্রভাব। পাশ্চাত্যের প্রভাব বেশ। যৌনতাও যথেষ্ট। বাংলাদেশের সাহিত্যে দেখি বিশাল জনগোষ্ঠীর কথা। এতে পাশ্চাত্য প্রভাবিত উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তের কথা আছে, গ্রামের মানুষের কথাও উঠে আসছে। বলতে পারি যে, ব্যাপক সমাজের উপস্থিতি রয়েছে সাহিত্যে। তবে এ ক্ষেত্রে আমার সীমাবদ্ধতার কথাও বলে রাখতে চাই। আমার সাহিত্য পাঠের ব্যাপ্তি কম। গল্প-উপন্যাস কম পড়তে পারছি এখন। ভাষা, ব্যাকরণ, সমালোচনা_ এসব বেশি পড়তে হচ্ছে।
সমকাল :আপনি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে এসেছেন। কেমন অনুভূতি?
পবিত্র সরকার :এ আয়োজন বাংলা ভাষাকেন্দ্রিক। আরেকটু ব্যাপ্ত হলে ভালো হতো। তবে এরও প্রয়োজন রয়েছে। অনেক বছর পর এর আয়োজন। বাংলাদেশের সাহিত্য সৃষ্টিশীল। কবিতা সজীব। এখানের কবিতায় অন্য ধরনের প্রাণ আছে। কবিতার শব্দ প্রয়োগেই তা স্পষ্ট। প্রান্তিক মানুষের কথা আছে সাহিত্যে। মানুষের জীবন ফুটিয়ে তুলতে পারা সাহিত্যের বড় লক্ষণ।
সমকাল :বাংলাদেশের শিক্ষাচিত্র সম্পর্কে কেমন ধারণা পেয়েছেন?
পবিত্র সরকার : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে আমার মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কথা হয়েছে। সাড়ে চার কোটি স্কুল ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই প্রদানের ঘটনা আমার মতো আরও অনেককে মুগ্ধ না করে পারে না। সরকারের উদ্যোগে এত সংখ্যক বই প্রকাশ ও বিতরণ দারুণ কাজ। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে শুনেছি যে, কেবল বই বিতরণের জন্য ৪০ হাজারের মতো ট্রাকের প্রয়োজন পড়েছে। বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে ছাত্র ও ছাত্রীদের অনুপাত সমান সমান, এটাও বিস্ময়ের। এ এক অনন্য অর্জন। ভারতের সব রাজ্যে এমনটি দেখা যায় না। সেখানে অনেক রাজ্য নারী শিক্ষায় পিছিয়ে আছে। মেয়েদেরে পড়াশোনায় উৎসাহ দেওয়া হয় না, এমন এলাকাও রয়েছে।
সমকাল : বাংলাদেশেও নারী শিক্ষায় বাধা এসেছে...।
পবিত্র সরকার : হ্যাঁ, আপনারা এ বাধা জয় করতে পেরেছেন। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস সর্বত্র নারীর গর্বিত পদচারণা। এটা প্রেরণাদায়ক। পোশাকশিল্পের প্রাণ নারী শ্রমিকের হাতে। এখানে মেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর এভাবে উপস্থিতি একটি জাতির অগ্রগতির পরিচায়ক। নাটক, সাহিত্যকর্ম_ সর্বত্র দেখি নারীর অংশগ্রহণ। মেয়েরা খেলাধুলাতেও আছে বিপুল সংখ্যায়। একদিন তাদের মধ্য থেকেও বিশ্বমানের খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে।
সমকাল : শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। কিন্তু মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। এসব নতুন প্রতিষ্ঠানেও মান নিয়ে প্রশ্ন। কীভাবে দেখছেন বিষয়টি?
পবিত্র সরকার :মধ্যবিত্তের চাহিদা-আকাঙ্ক্ষার দিকে লক্ষ্য রেখে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। পশ্চিমবঙ্গেও একই চিত্র। উচ্চতর পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানবিকবিদ্যার বিষয়গুলোর প্রতি তেমন নজর নেই। চাকরির বাজারই মূল লক্ষ্য। এগুলোতে পড়ার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
সমকাল :গ্রন্থমেলা বা বইমেলা কেমন দেখছেন?
পবিত্র সরকার :পাঁচ বছর দেখছি এ মেলা। এ মেলার স্মৃতি একেবারেই ভিন্ন। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় যারা আত্মদান করেছেন তাদের স্মৃতি এ মেলার সঙ্গে যুক্ত, যা জাতীয় জীবনের অনুষঙ্গ। এর আবেগ একেবারেই ভিন্ন। এ আবেগের পাশাপাশি আরেকটি দিক_ সারা বছরের প্রকাশনার এটাই একমাত্র উপলক্ষ। এর ভালো ও মন্দ দুটি দিকই রয়েছে। কলিকাতাতেও সেটাই দেখছি_ বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশনার আয়োজন। দেশের বাইরে যারা থাকেন, তারাও মেলা উপলক্ষে বই লেখেন। প্রকাশনা উপলক্ষে দেশে আসেন। বাংলাদেশেও এটাই ঘটছে। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, কেবল এ সময়টিকেই কেন বেছে নেওয়া হয়। এ নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। তবে বাস্তবতা এটাই_ বইমেলা-নির্ভর প্রকাশনা শিল্প আমরা দেখছি।
সমকাল : বইমেলার আর কোনো বৈশিষ্ট্য নজরে এসেছে?
পবিত্র সরকার :কেবল মধ্যবিত্ত নয়, সাধারণ মানুষও আসছে বইমেলায়। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অভিভাবকরা বইয়ের জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছড়িয়ে পড়ে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা। নতুনরা জানতে পারে_ বইয়ের ভেতর রয়েছে জাদু। সভ্যতার কেন্দ্র্রীয় বিষয় হচ্ছে বই।
সমকাল :পশ্চিমবঙ্গের বইমেলা সম্পর্কে বলুন।
পবিত্র সরকার : সেখানে কেন্দ্রীয় বইমেলা আছে, পাড়ায় পাড়ায় এর আয়োজন হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাংলা বইয়ের এমন প্রাচুর্য আর কোথাও মিলবে না। এখানে দলে দলে কবিদের দেখি মেলায়। কবিতা উৎসব হয় ফেব্রুয়ারির শুরুতে।
সমকাল :বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ কী, এ প্রশ্ন করেন অনেকে। আপনি কী বলবেন?
পবিত্র সরকার :আমি সাহিত্যের এমন পাঠক নই যে, ভবিষ্যদ্বাণী করার যোগ্যতা রাখি। তবে একটা কথা বলতে পারি, নতুন লেখকরা যত বেশি উঠে আসবে ততই সাহিত্য টিকে থাকার ভিত পাবে। বাংলাদেশে যেসব লেখকের সঙ্গে আমার পরিচয়, তাদের বেশিরভাগকেই তরুণের দলে ফেলা যাবে না। যেমন জাফর ইকবাল। তবে তিনিসহ আরও অনেকেই তরুণ প্রজন্মের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন। যতটা জানি, এখানে তরুণ লেখক সংখ্যা অনেক। তাদের জন্য বাংলা একাডেমির বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। বইমেলা ও জাতীয় কবিতা উৎসবে তরুণদের ভিড়। তরুণদের নিয়ে নানা ওয়ার্কশপ হয়। এসব কারণে সাহিত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা-উদ্বেগের কিছু দেখি না। এটাও বলব যে, বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ কিন্তু বাংলাদেশের হাতেই নিহিত।
সমকাল :বাংলাদেশের এখন পরিস্থিতি কিন্তু ভিন্ন...।
পবিত্র সরকার :হ্যাঁ, অনিশ্চয়তা রয়েছে। মাঝে মধ্যে দুশ্চিন্তা হয়। ভারতকে নিয়েও আমার উদ্বেগ রয়েছে। এখন যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে তাদের ভাবনা-চিন্তা দুশ্চিন্তায় ফেলে। এখানে এসে সংবাদপত্রে দেখছি অনেক মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। আশা করব যে, শেখ হাসিনার সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবে। সাধারণ মানুষের ওপর আমি বিশ্বাস রাখি। তারা বিপদের শঙ্কা জেনেও বাংলা একাডেমির সাহিত্য আলোচনায় অংশ নিচ্ছে। হরতাল-অবরোধ উপেক্ষা করে আসছে বইমেলায়। দুর্ভোগের মধ্যেও মানুষের মনোবল ভেঙে পড়ছে না। এটাই আশার দিক। আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে অনেক দেশের অতিথি এসেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হচ্ছে। সাধারণ মানুষের এ আয়োজনের প্রতি সমর্থন না থাকলে এটা করা সম্ভব হতো না। স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে যে ধরনের উপচেপড়া ভিড় হতো, সেটা হয়তো সম্ভব হয়নি।
সমকাল :এবারের সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে বিশেষ কোনো ঘটনা বলবেন কী?
পবিত্র সরকার :সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সই ছিল না। বিষয়টি নিছক কথা প্রসঙ্গে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে বলি। আমার জন্য পরম বিস্ময়ের ছিল যে, পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর সইসহ একটি বই পেয়ে যাই। এবারে বাংলাদেশ সফরে এ ঘটনাটিকে আমি বিশেষভাবে স্মরণে রাখব।
সমকাল : আপনাকে ধন্যবাদ।
পবিত্র সরকার : সমকাল পাঠকদের শুভেচ্ছা।

No comments

Powered by Blogger.