‘মধ্যবর্তী নির্বাচনই সঙ্কট সমাধানের উপায়’ -এমাজউদ্দীন

মধ্যবর্তী ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ। বলেছেন, জনমতবিহীন শাষণ ব্যবস্থায় কোন সুশাসন আসতে পারে না।  দেশের মধ্যে এমন একটি প্রতিষ্ঠানও পাওয়া যাবে না যেখানে সুশাসন চলছে, এমন উদাহরণ কোন মন্ত্রীও দিতে পারবেন না। দ্রুত একটি মধ্যবর্তী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান হয়ে যাবে। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অলি আহাদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ভাষাসৈনিক অলি আহাদের স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, এখনও রাজনৈতিক সব দলের মধ্যে ভাল ও উত্তম ব্যক্তিরা আছেন। তাদের কাছে আমার আবেদন আজকের সঙ্কটময় অবস্থা দূর করতে রাজনীতিকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে ও মানুষের কল্যাণের জন্য আপনারা রাজনীতি করুণ। দেশের বর্তমান সঙ্কট উত্তরণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পর্যাপ্ত খাবার ছাড়া নিজ কার্যালয়ে বন্দি আছেন- এটা কোন ধরনের মানবিকতা। কেউ অন্তরীণ থাকলেও তার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া খাবার পাবেন না- এটা ভাবা যায় না। তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে দেশের শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করা। এ বাহিনী শুধু বিরোধী দলকে দমনের জন্য কাজ করছে। দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড শুধু বাংলাদেশে  দেখছি। অলি আহাদ সম্পর্কে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, তিনি ছিলেন মুক্ত মনের অধিকারী। যা মনে করতেন স্পষ্ঠভাবে তাই উচ্চারণ করতেন। ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে আব্দুল মতিন, গাজীউল হক ও অলি আহাদ- এ তিন ভাষাসৈনিক সকলের কাছেই বিভিন্নভাবে সুপরিচিত ও শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। তাদের অবদানের জন্য আজ বাংলা ভাষা বিশ্বের ইতিহাসে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাত পোহালে ২১শে ফেব্রুয়ারি। কিন্তু এখন বিএনপির পক্ষ থেকে অবরোধ তুলে দেয়ার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। আমি মনে করি, ২১শে ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ চলতে পারে না। সরকার বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করবে না বলে জেদি আচরণ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা খালেদা জিয়াকে মানছেন না, ২০ দলকে মানছেন না, কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকান ফরেন মিনিস্টার, জাতিসংঘকে এত সহজে উড়িয়ে দিতে পারবেন না। সরকারের উদ্দেশে মাহমদুর রহমান মান্না বলেন, আপনারা বলছেন, ডাকাতের সঙ্গে কিসের কথা? আপনারা বিডিআরের সঙ্গে কথা বলতে পারলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে পারলেন, আমার নেতা ও আপনাদের নেতা বঙ্গবন্ধু, ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর সঙ্গে ১৫ বছর পর্যন্ত কথা বলতে পারলেন, আপনারা পারবেন না কেন? অলি আহাদ স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও ভাষাসৈনিক অলি আহাদের মেয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার পারভেজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

No comments

Powered by Blogger.