ফারুক হত্যা মামলার ভবিষ্যত নিয়ে ধূম্রজাল- আসামির জবানবন্দী ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পরস্পরবিরোধী by আনিসুজ্জামান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ্ মখদুম হলের
টিভিরম্নমে শিবিরের সশস্ত্র হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নক হোসেনের মৃতু্যর
কারণ সম্পর্কে শিবির নেতার জবানবন্দী এবং ময়নাতদনত্মের রিপোর্টে উলিস্নখিত
পরস্পরবিরোধী মনত্মব্যে মামলার ভবিষ্যত নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে আদালতে মামলার আসামিদের শাসত্মির বিষয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে বলে ওয়াকিফহাল সূত্রে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংশিস্নষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা শিবিরের সভাপতি ইকরাম হোসাইন ১২ মার্চ রাজশাহীর প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানকে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেছে, গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাত ৩টার দিকে শাহ্ মখদুম হল থেকে ওই হল শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি আনিস বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপের মোবাইলে ফোন করে জানান, হামলার সময় সে লোহার রড দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নকের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃতু্য হয়। পরে গোলাপের কথামতো ফারম্নক, আনিস, আহাদ, শিহাব, বাপ্পী, গাজী ও রাজু এই ৭ জনে মিলে ফারম্নকের লাশ হলের পাশের ম্যানহোলে ফেলে দেয়। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খড়খড়ি এলাকার স্থানীয় শিবির নেতা হামীমের বাড়িতে শিবিরের অন্যা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলিত হয়।
অন্যদিকে জবানবন্দীতে শিবির নেতা আনিস লোহার রড দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নক হোসেনের মাথায় আঘাত করায় ঘটনাস্থলে তার মৃতু্যর কথা বললেও ময়নাতদনত্মের রিপোর্টে বলা হয়েছে ভিন্ন কথা। ফারম্নকের লাশের ময়নাতদনত্মকারী সংশিস্নষ্ট মেডিক্যাল বোর্ড তাদের রিপোর্টে বলেছে, 'নিহতের পিঠের নিচে ডানদিকে ধারালো অস্ত্রের ভারি আঘাতে (চাইনিজ কুড়ালের) তার কিডনি ও লিভার ইনজিউড (কাটা জখম) হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তরণে তার মৃতু্য হয়। এছাড়া তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের দুটো হাড়ই ভাঙ্গা। কাঁধে ও ডান পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। বলা বাহুল্য ময়নাতদনত্মের রিপোর্টে নিহতের মাথায় কোন আঘাতের কথা উলেস্নখ নেই।
ওয়াকিফহাল সূত্রগুলো বলছে, মামলা সংশিস্নষ্ট কোন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী ও ময়না তদনত্ম রিপোর্ট খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ। পুলিশ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর আলোকে মামলার তদনত্ম কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বিচারক মামলার আসামিদের অপরাধ বিচারের েেত্র ময়না তদনত্মের রিপোর্টকে অগ্রাধিকার দেন। এেেত্র উদাহরণ হিসেবে সূত্রগুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার রায়ের কথা উলেস্নখ করেন। চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায়ে ময়নাতদনত্মের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারক চার আসামিকে মৃতু্যদ- দিলেও শিবির নেতা সালেহীকে বেকসুর খালাস দেন। সূত্রগুলোর প্রশ্ন ড. তাহের খুনের আসামি শিবির নেতা সালেহীর মতোই ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নকের খুনী শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডারদের কৌশলে খালাস করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আসামি ইকরামের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী এবং পুলিশী তদনত্ম পরিচালিত হচ্ছে কিনা? যদি তাই হয়, তাহলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার নাইম আহমেদের মতোই বর্তমান পুলিশ কমিশনার উভয়কুল (শিবির এবং সরকার) রার ভূমিকা পালন করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তারা দৈনিক জনকণ্ঠসহ মুক্তিযুদ্ধের পরে জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। তাঁরা ওইসব পত্রিকার সাংবাদিকদের মামলার তদনত্মের অগ্রগতি সম্পর্কে কোন তথ্যই দিতে চাচ্ছেন না।
সূত্রমতে, শিবির নেতা ইকরাম হোসাইন ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেছে, ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাতে ছাত্র শিবির পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৫টি গ্রম্নপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন আবাসিক হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলার আগেই ছাত্র শিবির জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে।
জবানবন্দীতে ইকরাম হোসাইন আরও বলেছে, ৮ ফেব্রম্নয়ারি সন্ধ্যায় বিনোদপুর বাজারে শিবির পরিচালিত ওয়েলফেয়ার মেসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র, শিবির নেতৃবৃন্দ ও কর্মীর উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধানত্ম হয়, ছাত্রলীগের কেউ যদি কোন প্রকার তর্কবিতর্ক করে তাহলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না, ছাত্রলীগকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে।
সংশিস্নষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা শিবিরের সভাপতি ইকরাম হোসাইন ১২ মার্চ রাজশাহীর প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানকে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেছে, গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাত ৩টার দিকে শাহ্ মখদুম হল থেকে ওই হল শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি আনিস বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপের মোবাইলে ফোন করে জানান, হামলার সময় সে লোহার রড দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নকের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃতু্য হয়। পরে গোলাপের কথামতো ফারম্নক, আনিস, আহাদ, শিহাব, বাপ্পী, গাজী ও রাজু এই ৭ জনে মিলে ফারম্নকের লাশ হলের পাশের ম্যানহোলে ফেলে দেয়। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খড়খড়ি এলাকার স্থানীয় শিবির নেতা হামীমের বাড়িতে শিবিরের অন্যা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলিত হয়।
অন্যদিকে জবানবন্দীতে শিবির নেতা আনিস লোহার রড দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নক হোসেনের মাথায় আঘাত করায় ঘটনাস্থলে তার মৃতু্যর কথা বললেও ময়নাতদনত্মের রিপোর্টে বলা হয়েছে ভিন্ন কথা। ফারম্নকের লাশের ময়নাতদনত্মকারী সংশিস্নষ্ট মেডিক্যাল বোর্ড তাদের রিপোর্টে বলেছে, 'নিহতের পিঠের নিচে ডানদিকে ধারালো অস্ত্রের ভারি আঘাতে (চাইনিজ কুড়ালের) তার কিডনি ও লিভার ইনজিউড (কাটা জখম) হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তরণে তার মৃতু্য হয়। এছাড়া তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের দুটো হাড়ই ভাঙ্গা। কাঁধে ও ডান পাঁজরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। বলা বাহুল্য ময়নাতদনত্মের রিপোর্টে নিহতের মাথায় কোন আঘাতের কথা উলেস্নখ নেই।
ওয়াকিফহাল সূত্রগুলো বলছে, মামলা সংশিস্নষ্ট কোন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী ও ময়না তদনত্ম রিপোর্ট খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ। পুলিশ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর আলোকে মামলার তদনত্ম কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বিচারক মামলার আসামিদের অপরাধ বিচারের েেত্র ময়না তদনত্মের রিপোর্টকে অগ্রাধিকার দেন। এেেত্র উদাহরণ হিসেবে সূত্রগুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার রায়ের কথা উলেস্নখ করেন। চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায়ে ময়নাতদনত্মের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারক চার আসামিকে মৃতু্যদ- দিলেও শিবির নেতা সালেহীকে বেকসুর খালাস দেন। সূত্রগুলোর প্রশ্ন ড. তাহের খুনের আসামি শিবির নেতা সালেহীর মতোই ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নকের খুনী শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডারদের কৌশলে খালাস করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আসামি ইকরামের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী এবং পুলিশী তদনত্ম পরিচালিত হচ্ছে কিনা? যদি তাই হয়, তাহলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার নাইম আহমেদের মতোই বর্তমান পুলিশ কমিশনার উভয়কুল (শিবির এবং সরকার) রার ভূমিকা পালন করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তারা দৈনিক জনকণ্ঠসহ মুক্তিযুদ্ধের পরে জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। তাঁরা ওইসব পত্রিকার সাংবাদিকদের মামলার তদনত্মের অগ্রগতি সম্পর্কে কোন তথ্যই দিতে চাচ্ছেন না।
সূত্রমতে, শিবির নেতা ইকরাম হোসাইন ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেছে, ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাতে ছাত্র শিবির পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৫টি গ্রম্নপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন আবাসিক হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলার আগেই ছাত্র শিবির জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে।
জবানবন্দীতে ইকরাম হোসাইন আরও বলেছে, ৮ ফেব্রম্নয়ারি সন্ধ্যায় বিনোদপুর বাজারে শিবির পরিচালিত ওয়েলফেয়ার মেসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র, শিবির নেতৃবৃন্দ ও কর্মীর উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধানত্ম হয়, ছাত্রলীগের কেউ যদি কোন প্রকার তর্কবিতর্ক করে তাহলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না, ছাত্রলীগকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে।
No comments