রেকর্ড গড়ে সিলেটের জয়
প্রথম ইনিংস শেষে মাঠ ছাড়লেন ব্যক্তিগত
আক্ষেপ নিয়ে। ২ রানের জন্য হয়নি সেঞ্চুরি। তখন তবু সান্ত্বনা ছিল দলের বড়
স্কোর। ম্যাচ শেষে সেটিও উধাও। সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে সঙ্গী দলের হার।
শামসুর রহমানকে দ্বৈত হতাশায় ডুবিয়ে সিলেট রয়্যালস জিতল রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে। ৬ উইকেটের জয়ে আবারও উঠে গেল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
১৯৮ রান তাড়ায় সিলেটকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন শিবনারায়ণ চন্দরপল। নাসিরের করা ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই নিয়েছিলেন ১৫। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে সিলেট তুলে ফেলে ৭৫! ২৯ বলে ৫১ রান করে চন্দরপল ফিরে যাওয়ার পর রানের গতিটা ধরে রাখেন মুশফিকুর রহিম (৩১ বলে ৫৬)। ইনিংসের বেশির ভাগজুড়েই দুই দলের রানরেট এগিয়েছে সমানতালে। ১৫ ওভার শেষে দুই দলেরই রান ছিল ১৫৩। শেষ ৩ ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ২৯। চিগুম্বুরা (১৩ বলে ২৭*) ও মমিনুলের (২০ বলে ২৩*) ব্যাটে সিলেট জিতে যায় এক ওভার আগেই! রান তাড়ার আগের রেকর্ড ছিল গত আসরে বরিশালের বিপক্ষে রাজশাহীর ১৯২।
অথচ প্রথম ইনিংস শেষে মনে হচ্ছিল হারের বলয় থেকে বুঝি বেরোতে পারবে রংপুর রাইডার্স। শামসুরের প্রায় সেঞ্চুরি আর ইমরুল কায়েসের ৪৬ বলে ৫৩ রংপুর রাইডার্সকে এনে দিয়েছিল ১৯৭ রান। শামসুর যখন ৯০ ছুঁলেন, তখনো বাকি ৫ ওভার। হয়তো ভেবেছিলেন, আউট না হলে সেঞ্চুরি নিয়ে সংশয় নেই। বাকি পথটুকু তাই নিরাপদে হাঁটতে চাইলেন। কাল হলো এটাই। পরের ৫ ওভারে খেলার সুযোগ পেলেন মাত্র ৯ বল, আটটিতে নিলেন সিঙ্গেল, একটিতে রান নেই। শেষ ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেওয়ার পর আর স্ট্রাইকই পেলেন না। প্রথম ১৫ ওভারে ৪১ বলে ৯০ রান করার পরও তাই ইনিংস শেষে ৫০ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত শামসুর!
সেঞ্চুরি না হলেও এক আসরে পাঁচ ফিফটির রেকর্ড অবশ্য ছুঁয়েছেন শামসুর, নাসিরকে (৬) টপকে গড়েছেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড (৮)। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুলের সঙ্গে ১৪৫ রানের বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বড় জুটি। শাহরিয়ার নাফীসের (৩১৩) কাছ থেকে ‘গ্রিন ক্যাপ’ কেড়ে নিয়ে (৩৫০) হয়েছেন ম্যাচ-সেরাও। তবু মাচটা শামসুরের আক্ষেপের ম্যাচ!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৯৭/৪ (শামসুর ৯৮*, জুনায়েদ ৬, ইমরুল ৫৩, নাসির ৪, কেভিন ও’ব্রায়েন ৩০, বোরগাস ১*; নাজমুল ২/৪২, সোহরাওয়ার্দী ১/২২, চিগুম্বুরা ১/৪৭)। সিলেট রয়্যালস: ১৯ ওভারে ১৯৮/৪ (চন্দরপল ৫১, স্টার্লিং ২০, মুশফিকুর ৫৬, নাজমুল মিলন ১৩, মমিনুল ২৩*, চিগুম্বুরা ২৭*, রাজ্জাক ২/৩৮, শরিফ ১/২৮, নাসির ১/৪৩)
ফল: সিলেট ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শামসুর রহমান।
১৯৮ রান তাড়ায় সিলেটকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন শিবনারায়ণ চন্দরপল। নাসিরের করা ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই নিয়েছিলেন ১৫। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে সিলেট তুলে ফেলে ৭৫! ২৯ বলে ৫১ রান করে চন্দরপল ফিরে যাওয়ার পর রানের গতিটা ধরে রাখেন মুশফিকুর রহিম (৩১ বলে ৫৬)। ইনিংসের বেশির ভাগজুড়েই দুই দলের রানরেট এগিয়েছে সমানতালে। ১৫ ওভার শেষে দুই দলেরই রান ছিল ১৫৩। শেষ ৩ ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ২৯। চিগুম্বুরা (১৩ বলে ২৭*) ও মমিনুলের (২০ বলে ২৩*) ব্যাটে সিলেট জিতে যায় এক ওভার আগেই! রান তাড়ার আগের রেকর্ড ছিল গত আসরে বরিশালের বিপক্ষে রাজশাহীর ১৯২।
অথচ প্রথম ইনিংস শেষে মনে হচ্ছিল হারের বলয় থেকে বুঝি বেরোতে পারবে রংপুর রাইডার্স। শামসুরের প্রায় সেঞ্চুরি আর ইমরুল কায়েসের ৪৬ বলে ৫৩ রংপুর রাইডার্সকে এনে দিয়েছিল ১৯৭ রান। শামসুর যখন ৯০ ছুঁলেন, তখনো বাকি ৫ ওভার। হয়তো ভেবেছিলেন, আউট না হলে সেঞ্চুরি নিয়ে সংশয় নেই। বাকি পথটুকু তাই নিরাপদে হাঁটতে চাইলেন। কাল হলো এটাই। পরের ৫ ওভারে খেলার সুযোগ পেলেন মাত্র ৯ বল, আটটিতে নিলেন সিঙ্গেল, একটিতে রান নেই। শেষ ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেওয়ার পর আর স্ট্রাইকই পেলেন না। প্রথম ১৫ ওভারে ৪১ বলে ৯০ রান করার পরও তাই ইনিংস শেষে ৫০ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত শামসুর!
সেঞ্চুরি না হলেও এক আসরে পাঁচ ফিফটির রেকর্ড অবশ্য ছুঁয়েছেন শামসুর, নাসিরকে (৬) টপকে গড়েছেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড (৮)। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুলের সঙ্গে ১৪৫ রানের বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বড় জুটি। শাহরিয়ার নাফীসের (৩১৩) কাছ থেকে ‘গ্রিন ক্যাপ’ কেড়ে নিয়ে (৩৫০) হয়েছেন ম্যাচ-সেরাও। তবু মাচটা শামসুরের আক্ষেপের ম্যাচ!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৯৭/৪ (শামসুর ৯৮*, জুনায়েদ ৬, ইমরুল ৫৩, নাসির ৪, কেভিন ও’ব্রায়েন ৩০, বোরগাস ১*; নাজমুল ২/৪২, সোহরাওয়ার্দী ১/২২, চিগুম্বুরা ১/৪৭)। সিলেট রয়্যালস: ১৯ ওভারে ১৯৮/৪ (চন্দরপল ৫১, স্টার্লিং ২০, মুশফিকুর ৫৬, নাজমুল মিলন ১৩, মমিনুল ২৩*, চিগুম্বুরা ২৭*, রাজ্জাক ২/৩৮, শরিফ ১/২৮, নাসির ১/৪৩)
ফল: সিলেট ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শামসুর রহমান।
No comments