চুক্তি সই সত্ত্বেও পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনড় জনমুক্তি মোর্চা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে গত সোমবার ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সইয়ের পরও পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি থেকে সরে আসেনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
চুক্তি সইয়ের পরপরই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং বলেন, পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার দাবি থেকে তাঁরা সরছেন না। এটাই তাঁদের লক্ষ্য।
সোমবার চুক্তি সইয়ের আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলা ভাগ হবে না। দার্জিলিং বাংলার হূদয়।’ মমতার এ বক্তব্যের পর ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়।
তবে চুক্তি সইয়ের পর জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার দাবি থেকে সরছেন না।
গতকাল মঙ্গলবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তাঁরা অনড়। তিনি আরও বলেন, পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গড়ার চুক্তিতে সই করবেন জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং।
সোমবার স্বশাসিত সংস্থা গড়ার চুক্তিতে সই করেন জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি।
এদিকে ‘বাংলা ভাগ করার’ এ চুক্তির বিরুদ্ধে ‘বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও কমিটি’র ডাকে গতকালও শিলিগুড়ি ও ডুয়ার্সে বন্ধ্ পালিত হয়েছে। কমিটি ঘোষণা দিয়েছে, ‘বাংলা ভাগের’ এ চুক্তি তারা মেনে নেবে না।
রাজ্য বামফ্রন্টও জানিয়ে দিয়েছে তারাও এ চুক্তি মানছে না। পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, এ চুক্তি রাজ্যে ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সম্প্রীতি ও সংহতিকে ধ্বংস করবে। যে পদ্ধতিতে এ ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করা হয়েছে, তা সমর্থন করে না বামফ্রন্ট।
পৃথক রাজ্যের দাবিতে গণ-অনশন: পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে পৃথক রাজ্য গড়ার দাবিতে সোমবার থেকে কোচবিহার জেলা সদরে শুরু হয়েছে গণ-অনশন। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন এ কর্মসূচির ডাক দেয়। কোচবিহার শহরের রাসমেলা ময়দানে চলছে এ গণ-অনশন।

No comments

Powered by Blogger.