সাগরে তেজষ্ক্রিয়পানি ফেলা নিয়েনাওতো কানের উদ্বেগ

জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান সব সময় সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ফেলার বিষয়টি প্রতিবেশী দেশগুলোকে জানানো উচিত। গতকাল রোববার সুনামিবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও পরিদর্শন করেন।
এদিকে সুনামিতে নিহত ব্যক্তিদের লাশ খুঁজে বের করতে গতকাল থেকে সামরিকবাহিনীর প্রায় ২২ হাজার সদস্য দুর্গত এলাকায় কাজ শুরু করেছেন।
গত ১১ মার্চ ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামি আঘাত হানে। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো ওই অঞ্চল পরিদর্শনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী কান। সেখানে তিনি বলেন, সরকার সব সময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকবে। গৃহহারা দেড় লাখ মানুষের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি নির্মাণ করা হবে। সুনামির পর থেকে তারা জরুরি আশ্রয়ে অবস্থান করছে। কান বলেন, সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে। মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, মাছ ধরার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ করবে সরকার।
তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কান উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশগুলোকে আমাদের আরও ভালো ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। কারণ, আমরা তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ফেলছি।
তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ফেলা নিয়ে জাপানের প্রতিবেশী চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করার পর এই মন্তব্য করলেন কান। এরই মধ্যে জাপানের ১২টি এলাকা থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করছে চীন।
সুনামিতে নিহত ব্যক্তিদের লাশ খুঁজে বের করতে গতকাল ২২ হাজার সেনাসদস্য কাজ শুরু করেছেন। ৯০টি হেলিকপ্টার, ৫০টি বড় নৌযান ও ১০০ জন ডুবুরির সমন্বয়ে সাগরে লাশ খোঁজা হচ্ছে। স্থলে লাশ খোঁজার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ১৪ হাজার সেনাসদস্য। সুনামির পর এখনো ১৫ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.