মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে চীনকে অনেক কিছু করতে হবে
যুক্তরাষ্ট্র সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও বলেছেন, চীনের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তাঁদের এখনো অনেক কিছু করতে হবে। গত বুধবার হোয়াইট হাউসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু এগুলো চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতার মধ্যে মানবাধিকার ছাড়াও চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মর্যাদা, চীনের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
চীনের প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীনে মানবাধিকার পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে চীন একটি বিশাল দেশ। এখানে অনেক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতেই পারে। তবে তিনি স্বীকার করেন, দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে তাঁদের এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে।
হু জিনতাও বলেন, পারস্পারিক আস্থা বাড়াতে এবং দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করতেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন। দুই দেশকে অবশ্যই একে অন্যের পছন্দ-অপছন্দ এবং স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট হু-এর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি অত্যন্ত খোলামেলা কথা বলেছেন। মানবাধিকার নিয়ে চীনের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্রের মনোমালিন্য হতে পারে। কিন্তু গুরত্বপূর্ণ ব্যাপারে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এসব মনোমালিন্য কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। ওবামা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা একে অন্যের সাফল্যের অংশীদার। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের সমৃদ্ধি আরও বাড়বে। নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে দুই দেশের। চীন শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটাও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আনন্দের বিষয়। কারণ, কোটি কোটি লোকের দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে বের হয়ে আসার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ লুকিয়ে আছে।’
এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীন তাঁদের দেশে যুক্তরাষ্ট্রকে চার হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্যসহ বিভিন্ন সামগ্রী রপ্তানি করতে দেওয়ার ব্যাপারে এটি চুক্তি করার ঘোষণা দিয়েছে। এ চুক্তি অনুসারে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এক হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে ২০০টি বোয়িং যাত্রীবাহী বিমান কিনবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ চুক্তির ফলে মার্কিন অর্থনীতিতে কিছুটা গতি আসবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ ৩৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া পরমাণু নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশ আরেকটি চুক্তি করবে বলে কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
পরে ওবামা হু-কে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। এতে মাইক্রোসফট, মটোরোলা, গোল্ডম্যান শাস, জেনারেল ইলেকট্রিক, কোকাকোলা, এইচএসবিসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউস এসে পৌঁছলে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তাঁর সম্মানে ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়। হোয়াইট হাউসে তাঁকে স্বাগত জানান, প্রেসিডেন্ট ওবামা ও ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামাবা।
সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতার মধ্যে মানবাধিকার ছাড়াও চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মর্যাদা, চীনের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
চীনের প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীনে মানবাধিকার পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে চীন একটি বিশাল দেশ। এখানে অনেক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতেই পারে। তবে তিনি স্বীকার করেন, দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে তাঁদের এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে।
হু জিনতাও বলেন, পারস্পারিক আস্থা বাড়াতে এবং দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করতেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন। দুই দেশকে অবশ্যই একে অন্যের পছন্দ-অপছন্দ এবং স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট হু-এর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি অত্যন্ত খোলামেলা কথা বলেছেন। মানবাধিকার নিয়ে চীনের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্রের মনোমালিন্য হতে পারে। কিন্তু গুরত্বপূর্ণ ব্যাপারে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এসব মনোমালিন্য কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। ওবামা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা একে অন্যের সাফল্যের অংশীদার। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের সমৃদ্ধি আরও বাড়বে। নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে দুই দেশের। চীন শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটাও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আনন্দের বিষয়। কারণ, কোটি কোটি লোকের দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে বের হয়ে আসার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ লুকিয়ে আছে।’
এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীন তাঁদের দেশে যুক্তরাষ্ট্রকে চার হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্যসহ বিভিন্ন সামগ্রী রপ্তানি করতে দেওয়ার ব্যাপারে এটি চুক্তি করার ঘোষণা দিয়েছে। এ চুক্তি অনুসারে চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এক হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে ২০০টি বোয়িং যাত্রীবাহী বিমান কিনবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ চুক্তির ফলে মার্কিন অর্থনীতিতে কিছুটা গতি আসবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে দুই লাখ ৩৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া পরমাণু নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশ আরেকটি চুক্তি করবে বলে কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
পরে ওবামা হু-কে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। এতে মাইক্রোসফট, মটোরোলা, গোল্ডম্যান শাস, জেনারেল ইলেকট্রিক, কোকাকোলা, এইচএসবিসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউস এসে পৌঁছলে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তাঁর সম্মানে ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়। হোয়াইট হাউসে তাঁকে স্বাগত জানান, প্রেসিডেন্ট ওবামা ও ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামাবা।
No comments