দিল্লিতে পর্যটকদের বাসে গুলির ঘটনা সম্ভবত সন্ত্রাসী হামলা
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদের কাছে পর্যটকদের বাসে গুলির ঘটনা ছিল সম্ভবত সন্ত্রাসী হামলা। হামলার ধরন দেখে তেমনটাই মনে হয়। জঙ্গিগোষ্ঠী ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কর্মকর্তাদের মতে, কমনওয়েলথ গেমসের সময় হামলার হুমকি দিয়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন বিবিসিকে একটি ই-মেইল পাঠানোয় এই ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় এবং কমনওয়েলথ গেমস সামনে রেখে এই হামলার চেষ্টা চালানো হতে পারে।
ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে মুম্বাইয়ে দুই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একটি মুঠোফোন থেকে ওই ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। মুম্বাইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভুয়া নাম ও পরিচয় দিয়ে ওই মুঠোফোন ও সিমকার্ড কেনা হয়েছে।
গত রোববারের ওই হামলার পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে একটি ই-মেইল পাঠানো হয়। এতে আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসের সময় হামলার হুমকি দেওয়া হয়। জামা মসজিদের কাছে পর্যটকদের বাসে হামলার বিষয়ে ই-মেইলে সরাসরি কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে এতে বলা হয়, ‘আল্লাহর কসম, আতিফ আমিন ও মোহাম্মদ সাজিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই হামলা।’ আমিন ও সাজিদ দুজনই ২০০৮ সালে দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
জানা গেছে, পর্যটকদের বাসে হামলাকারীরা একটি পিস্তল থেকেই গুলি ছুড়েছে। তাদের কাছে কোনো ভারী অস্ত্র ছিল না। এ ধরনের হামলায় ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা তাদের পক্ষে সম্ভবও ছিল না। কেননা তারা একটি মোটরসাইকেল থেকে গুলি ছোড়ে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এ হামলাকে সামান্য বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভাবলে ভুল করা হবে। এতে হয়তো শুধু তাইওয়ানের দুই নাগরিক আহত হয়েছেন, কেউ নিহত হননি; কিন্তু আরও বেশি হতাহত পারত। সূত্রমতে, সন্ত্রাসীরা হয়তো ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, যাতে করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আগামী ৩ থেকে ১৪ অক্টোবর দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমসের সময় লস্কর-ই-তাইয়েবা এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র করছে বলে সরকারের কাছে খবর রয়েছে। তার পরও নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার না করায় অবাক হতে হয়। জামা মসজিদের পাশে যখন পর্যটকদের বাসে হামলা হয়েছে তখন তার আশপাশে পুলিশ ছিল। তা সত্ত্বেও এ ঘটনা ঘটেছে।
দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিল্লি পুলিশকে দেওয়া হলেও নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার সামর্থ্য তাদের আছে বলে মনে হচ্ছে না। কাজেই এ কাজে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডস, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সসহ অন্যান্য বাহিনীকেও নিযুক্ত করা দরকার বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এমন একটি বড় আয়োজনের জন্য আরও বেশি নিরাপত্তার প্রস্তুতি প্রয়োজন।
সন্ত্রাসী ও সন্দেহভাজনদের প্রতিটি পর্যায়ে শনাক্ত করা নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর পক্ষে সম্ভব নয়। এমন একটি বড় ক্রীড়া আয়োজনের আগে পুলিশকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণে বিদেশিদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। যদি তা-ই হয় সরকারের জন্য এটি আরও হামলার সতর্কসংকেত।
কর্মকর্তাদের মতে, কমনওয়েলথ গেমসের সময় হামলার হুমকি দিয়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন বিবিসিকে একটি ই-মেইল পাঠানোয় এই ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় এবং কমনওয়েলথ গেমস সামনে রেখে এই হামলার চেষ্টা চালানো হতে পারে।
ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে মুম্বাইয়ে দুই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একটি মুঠোফোন থেকে ওই ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। মুম্বাইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভুয়া নাম ও পরিচয় দিয়ে ওই মুঠোফোন ও সিমকার্ড কেনা হয়েছে।
গত রোববারের ওই হামলার পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে একটি ই-মেইল পাঠানো হয়। এতে আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসের সময় হামলার হুমকি দেওয়া হয়। জামা মসজিদের কাছে পর্যটকদের বাসে হামলার বিষয়ে ই-মেইলে সরাসরি কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে এতে বলা হয়, ‘আল্লাহর কসম, আতিফ আমিন ও মোহাম্মদ সাজিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই হামলা।’ আমিন ও সাজিদ দুজনই ২০০৮ সালে দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
জানা গেছে, পর্যটকদের বাসে হামলাকারীরা একটি পিস্তল থেকেই গুলি ছুড়েছে। তাদের কাছে কোনো ভারী অস্ত্র ছিল না। এ ধরনের হামলায় ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা তাদের পক্ষে সম্ভবও ছিল না। কেননা তারা একটি মোটরসাইকেল থেকে গুলি ছোড়ে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এ হামলাকে সামান্য বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভাবলে ভুল করা হবে। এতে হয়তো শুধু তাইওয়ানের দুই নাগরিক আহত হয়েছেন, কেউ নিহত হননি; কিন্তু আরও বেশি হতাহত পারত। সূত্রমতে, সন্ত্রাসীরা হয়তো ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, যাতে করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আগামী ৩ থেকে ১৪ অক্টোবর দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমসের সময় লস্কর-ই-তাইয়েবা এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র করছে বলে সরকারের কাছে খবর রয়েছে। তার পরও নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার না করায় অবাক হতে হয়। জামা মসজিদের পাশে যখন পর্যটকদের বাসে হামলা হয়েছে তখন তার আশপাশে পুলিশ ছিল। তা সত্ত্বেও এ ঘটনা ঘটেছে।
দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিল্লি পুলিশকে দেওয়া হলেও নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার সামর্থ্য তাদের আছে বলে মনে হচ্ছে না। কাজেই এ কাজে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডস, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সসহ অন্যান্য বাহিনীকেও নিযুক্ত করা দরকার বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এমন একটি বড় আয়োজনের জন্য আরও বেশি নিরাপত্তার প্রস্তুতি প্রয়োজন।
সন্ত্রাসী ও সন্দেহভাজনদের প্রতিটি পর্যায়ে শনাক্ত করা নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর পক্ষে সম্ভব নয়। এমন একটি বড় ক্রীড়া আয়োজনের আগে পুলিশকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণে বিদেশিদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। যদি তা-ই হয় সরকারের জন্য এটি আরও হামলার সতর্কসংকেত।
No comments