এ বছর ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেলেন সাতজন

বাংলাদেশের এক আইনজীবীসহ মোট সাতজন এ বছর র‌্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন। অন্যরা হলের চীনের তিন পরিবেশকর্মী, জাপানের হিরোশিমা নগরের মেয়র এবং ফিলিপাইনের এক দম্পতি। এশিয়ার নোবেল খ্যাত এ পুরস্কার গতকাল সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন এ এইচ এম নোমান খান। প্রতিবন্ধীদের সাহায্যার্থে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) পরিচালনায় দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত চীনের তিন পরিবেশকর্মীর একজন হলেন আলোকচিত্রী হুয়ো দাইশান। চীনের তৃতীয় বৃহত্তম নদী হুয়াইয়ের ভয়াবহ দূষণ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচারণার জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তা ও কারখানামালিকদের হুমকি-ধমকি এবং হয়রানি সত্ত্বেও তিনি এই প্রচারণার কাজ চালিয়ে গেছেন।
পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার পাওয়া অন্য দুজন হলেন চীনের পরিবেশ প্রতিরক্ষাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার প্যান ইউয়ি এবং শেজিয়াং প্রদেশের এক গ্রামপ্রধান ফু কিপিং।
পুরস্কার পেয়েছেন জাপানি নগরের হিরোশিমার তিন মেয়াদের মেয়র তাদাতোশি আকিবা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পরমাণু বোমায় ধ্বংস হওয়া জাপানের দুই নগরের একটি হিরোশিমা। পরমাণু অস্ত্র ধ্বংসের কাজে অবদান রাখায় তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
ফিলিপাইনে দরিদ্রদের জন্য নতুন শিক্ষা পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ এক দম্পতি। তাঁরা হলেন ক্রিস্টোফার ও মারিয়া ভিক্টোরিয়া বার্নিডো। ১৯৫৭ সালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ফিলিপাইনের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট র‌্যামন ম্যাগসাইসাই। তাঁর নামেই ওই বছর থেকে ম্যাগসাইসাই পুরস্কার চালু করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.