ব্রাজিলের শ্রেষ্ঠত্ব মেনেই বিদায় চিলির

হারের পর হতাশার কথাটাই বেশি শোনা যায় পরাজিত দলের কোচ-খেলোয়াড়দের মুখে। চিলিয়ানরা একটু যেন ব্যতিক্রম। কোচ, খেলোয়াড় সবাই নতমস্তকে মেনে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের শ্রেষ্ঠত্ব, নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার।
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের কাছে হেরে শেষ চিলির বিশ্বকাপ। বাদ পড়ার হতাশা অবশ্যই আছে, তবে কোনো অভিযোগ নেই। নেই হারের দায় এড়ানোর চেষ্টা। কোচ মার্সেলো বিয়েলসা অকপটে স্বীকার করেছেন, পরশু যোগ্যতর দল হিসেবেই জিতেছে ব্রাজিল, ‘আমাদের বিদায়টা ঠিকই আছে। দুর্বল দলগুলোর বিপক্ষে হয়তো আমাদের ভালো সুযোগ থাকে। কিন্তু ব্রাজিলের মতো পরাশক্তির বিপক্ষে আমাদের করার তেমন কিছু থাকে না।’
মাঠের পারফরম্যান্স মূল্যায়নেও নিজেদের দুর্বলতা ঢাকার কোনো চেষ্টা করেননি বিয়েলসা। ব্রাজিলের শ্রেষ্ঠত্ব মেনেই নিয়েছেন তিনি, ‘আমাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্রাজিল একটু বেশিই ভালো দল। তাদের থামানো সম্ভব হয়নি আমাদের পক্ষে।’ তবে ম্যাচের আগে ভালো কিছুর প্রত্যাশাই ছিল বিয়েলসার মনে, ‘আশা করেছিলাম, কিছু একটা হয়তো অর্জন করতে পারব আমরা। ভেবেছিলাম ব্রাজিলের অন্তত কাছাকাছি যেতে পারব। আমি বলছি না যে ম্যাচটা একতরফা ছিল। কিন্তু আমরা সে রকম চাপ তৈরি করতে পারিনি, যেটা ওদের বিপদের কারণ হবে।’ বিয়েলসার অতৃপ্তি, ‘আমরা গোলের চেষ্টা করেছি, কাছাকাছি চলেও গেছি। কিন্তু গোলের ভালো সুযোগ কমই পেয়েছি।’
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়াটা সব সময়ই দুঃখের। চিলির কোচও ভাসছেন সেই দুঃখে, ‘এটা খুবই দুঃখের, হতাশার। তবে খেলোয়াড়দের জন্যই বেশি খারাপ লাগছে। সামর্থ্য প্রমাণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে তারা।’
কোচের মতো চিলির খেলোয়াড়েরাও ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন। গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ ছেড়ে গেলেও মাঠে আমরা সেরাটাই দিয়েছি। একটা সময়ে আমরা খুব ভঙ্গুর দল ছিলাম। আমরা আক্রমণটা খুব ভালো করি, কিন্তু কখন রক্ষণাত্মক ভূমিকায় আসতে হবে, সেটাও জানা থাকা দরকার।’ মিডফিল্ডার জর্জ ভালদিভিয়া বলেছেন একটা কথাই, ‘আমরা সেরা দলের কাছে হেরেছি। এর বেশি কিছু বলার নেই।’
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় মানে কোচের চাকরিও চলে যাওয়ার ব্যবস্থা। তা বিয়েলসারও কি লা রোজাদের সঙ্গে আর থাকা হচ্ছে না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিয়েলসা নির্দিষ্ট করে বললেন না কিছুই, ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার সময় এখন নয়। আমি জানি না কী হবে।

No comments

Powered by Blogger.