রক্তক্ষয়ী অভিযান চালানোয় তোপের মুখে আপিসিত

সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থামাতে রক্তক্ষয়ী সেনা অভিযান চালানোয় পার্লামেন্টে এখন তোপের মুখে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিওয়া। গতকাল সোমবার পার্লামেন্টে আপিসিতের প্রতি অনাস্থা আনার ব্যাপারে বিতর্ক চলাকালে তাঁর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার আইনজীবীরা জানান, ব্যাংককে সাম্প্রতিক সেনা অভিযানের ঘটনা তদন্তে তাঁরা একজন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছেন।
আপিসিতের সরকার দুই মাসের বেশি সময় ধরে সরকারবিরোধী ‘লাল শার্ট’ বিক্ষোভ মোকাবিলা করে টিকে আছে। পার্লামেন্টে সরকারের বিক্ষোভ মোকাবিলার ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে ৮৮ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় এক হাজার ৯০০ জন। এর মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক লোক।
গতকাল বিরোধীদলীয় হুইপ উইত্তাইয়া বুরানাসিরি অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের নির্দেশ দিয়ে আপিসিত মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। বিক্ষোভকারীরা সংবিধান অনুযায়ী বিক্ষোভ করছিলেন। তিনি বলেন, এই সেনা অভিযান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের পর্যায়ে পড়ে না। এ ঘটনায় অনেকে হতাহত হয়। সরকার অর্থনৈতিক সংকট নিরসনেও ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বুরানাসিরি বলেন, সরকার যদি এ পরিস্থিতি ধরে রাখে, তাহলে দেশ এমন এক সংকটে পড়বে, যার সমাধান খুব কঠিন হবে।
থাকসিন সিনাওয়াত্রার আইনজীবীরা এক বিবৃতিতে বলেন, থাইল্যান্ডের বর্তমান সরকারকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালতে হাজির করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে একজন আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষজ্ঞকে ভাড়া করা হয়েছে। তিনি হচ্ছেন ওলন্দাজ অধ্যাপক জি আই আলেকজান্ডার নুপস। বিবৃতিতে থাই সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়, তা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হয়েও প্রকাশ্যে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন।
আইনজীবীদের অভিযোগ, সরকার কমপক্ষে ১৪০ জন লালশার্টধারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। আইনজীবীর কাছে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না তাদের।

No comments

Powered by Blogger.