অঁরিই বিদ্রোহের ‘মূল হোতা’

ফ্রান্সকে তিনি বিশ্বকাপে নিয়ে এসেছেন মহা বিতর্কের মধ্য দিয়ে। থিয়েরি অঁরি, বাছাইপর্বের প্লে অফে তাঁর সেই হ্যান্ডবল না হলে ফ্রান্সের বিশ্বকাপেই খেলা হতো না। কাল রাতেই সেই ফ্রান্সের কপালে ভাগ্যের সিল পড়ে গেছে। অনিবার্য বিদায় কি এড়াতে পেরেছে ফ্রান্স? না পারারই কথা। ফ্রান্সকে বিশ্বকাপে নিয়ে আসতে রীতিমতো ‘ভিলেন’ বনে গিয়েছিলেন যিনি, সেই অঁরি আবারও হয়তো কাঠগড়াতেই উঠতে চলেছেন। দ্য সান-এর খবর, ফ্রান্স দলে বিদ্রোহের মূল হোতা এই অঁরিই!
সূত্রপাত আনেলকার বহিষ্কার নিয়ে। ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে খেলোয়াড়েরা একদিন অনুশীলনও বয়কট করেছেন। শোনা যাচ্ছে, আনেলকার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অঁরিই নাকি খেলোয়াড়দের উসকে দিয়ে ওই বিদ্রোহ ঘটিয়েছেন। অঁরির সঙ্গে ছিলেন উইলিয়াম গালাস আর এরিক আবিদাল।
ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা অঁরি মঁতিল বলেছেন, ‘তিন থেকে চারজন ছিল নেতৃত্বে, তারাই পুরো দলকে উসকে দিয়েছে। বাকিরা তো বয়সে তরুণ। তারাই নেতৃত্ব দিয়েছে, যাদের আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারা? উইলিয়াম গালাস, এরিক আবিদাল আর অঁরি, যারা আনেলকার বন্ধু।’
এই বিদ্রোহে খেলোয়াড়েরা কিন্তু কারোরই সমর্থন পাননি। জিনেদিন জিদানের মতো সাবেক ফুটবলাররা তো বটেই, দেশের সংবাদমাধ্যমও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে। এবার খোদ দেশটির রাষ্ট্রপতি নিকোলা সারকোজিও মুখ খুলেছেন। বিশ্বকাপের পর পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী রোজেলিন বাশেলটও ঝাঁঝালো মন্তব্য করেছেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের বলেই দিয়েছি, ওরা ফ্রান্সের ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিল।’
ফ্রান্স দলটি হারিয়ে ফেলছে স্পনসরদের সমর্থনও। বাজে পারফরম্যান্সের সঙ্গে নেতিবাচক এসব ঘটনা মিলে এই দলটার ভাবমূর্তি, জনপ্রিয়তা কোনোটাই নেই ফ্রান্সে। আর তাই স্পনসররা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে খবর। এরই মধ্যে শীর্ষস্থানীয় একটি স্পনসর প্রতিষ্ঠান তাদের চুক্তি বাতিল করেছে। ফ্রান্সের জার্সি ও অনুশীলন সরঞ্জামে ওই প্রতিষ্ঠানের লোগো তাই দেখা যাচ্ছে না। টিভি বিজ্ঞাপনও বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ রকমই যে হবে কোচ রেমন্ড ডমেনেখ আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। আর তাই সব মিলিয়ে খেলোয়াড়দের আচমকা বয়কটের সিদ্ধান্তকে তিনি বলছেন, ‘নির্বুদ্ধিতা’। আনেলকাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সমর্থন করেছেন কোচ। ওই সংবাদ সম্মেলনে ডমেনেখের পাশে ছিলেন না অধিনায়ক প্যাট্রিস এভরা।

No comments

Powered by Blogger.