হাওয়ার্ডকে মুরালির দুসরা

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১২ সালের জুন থেকে আইসিসি সভাপতির চেয়ারটা অলংকৃত করবেন জন হাওয়ার্ড। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন। একজন কিন্তু মোটেও অভিনন্দন জানাতে পারছেন না। মুত্তিয়া মুরালিধরন। পারবেন কী করে, শ্রীলঙ্কান অফ স্পিনারের বুকে যে এখনো বিঁধে আছে হাওয়ার্ডের সেই কথা—‘চাকার!’
২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় মুরালিধরন আর শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গাটায় আঘাত করেছিলেন হাওয়ার্ড। প্রশ্ন তুলেছিলেন মুরালিধরনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। হাওয়ার্ডের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে ২০০৪ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে যাননি মুরালি। হাওয়ার্ড অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু মুরালি ঠিকই মনে রেখেছেন সেটা। হাওয়ার্ড আইসিসির ভাবী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ‘তাঁর সঙ্গে সব ঝামেলা মিটে গেছে’ বলার পাশাপাশি মুরালি এ কথাও বলেছেন, এশিয়ার ক্রিকেট মহলকে আস্থায় আনতে বেগ পেতে হবে ৭০ বছর বয়সীকে।
‘তাঁর ব্যাপারে আমি মোটেও ক্ষুব্ধ, হতাশ বা সে রকম কিছু নই। সে সময় আমার মনে হয়েছিল, তিনি সঠিক নন। আমি আমার মতটা বলেছি, তিনি তাঁরটা। আমাদের এখন আসলে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে। ক্রিকেটের এ ধরনের বিষয়গুলো তিনি কীভাবে সামলাবেন? কাজটা তাঁর জন্য সহজ হবে না। তাঁকে উপমহাদেশের আস্থা অর্জন করতে হবে। তাঁর জন্য এটি কঠিন এক চ্যালেঞ্জ হবে’—অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছেন টেস্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
মুরালির মতো খুশি হতে পারছেন না পিটার রোবাকও। খ্যাতিমান কলাম লেখক বলেছেন, হাওয়ার্ডের চেয়ে নিউজিল্যান্ডের সাবেক বোর্ড-প্রধান স্যার জন অ্যান্ডারসনই হতেন সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে এ দুজনের সঙ্গে একমত নন রিকি পন্টিং। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বলেছেন, ‘হাওয়ার্ড ক্রিকেট বিশ্বের জন্য দুর্দান্ত কাজ করবেন। খেলাটার প্রতি তাঁর যে ভালোবাসা সেটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যায় না। তাঁর মাপের একজন যে এই দায়িত্বটা পালন করতে চান, এটা তো দারুণ সুখবর।’
আইসিসি-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে আর আছে কেবল ম্যালকম গ্রের। তিনিও আশাবাদী, সুদীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে হাওয়ার্ড জয় করে নেবেন ক্রিকেট বিশ্ব।

No comments

Powered by Blogger.