চাপের মুখে ইংল্যান্ড

কালও একবার কালো আকাশে ঝিলিক দিয়ে গিয়েছিল বজ্রবিদ্যুত্। মেঘ কেটে আবার রোদ্দুর জোহানেসবার্গে। রৌদ্র-ছায়ার খেলা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অবশ্য পুরোপুরি ফলেনি। এখন এই আবহাওয়াই সবচেয়ে বড় ভরসা ইংল্যান্ডের!
ইংল্যান্ডের ১৮০ রানের জবাবে ৭ উইকেটে ৪২৩ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৪৩ রানের লিড পেয়েছিল তারা। সেটিকে ১৯৫ রানে নামিয়ে আনতে না-আনতেই তিনটি উইকেট খুইয়েছে ইংল্যান্ড। এ প্রতিবেদন লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের স্কোর: ৪৮/৩। ৯ রানে অপরাজিত কেভিন পিটারসেনের এটাই শেষ সুযোগ সিরিজটাকে স্মরণীয় করে রাখার। আউট হয়েছেন অ্যালিস্টার কুক (১), জোনাথন ট্রট (৮) আর অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস (২২)।
দ্বিতীয় দিনের মতো কালও ইংল্যান্ডকে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গেল গ্রায়েম স্মিথের নটআউট সিদ্ধান্তটি নিয়ে। ইংনিসের শুরুতেই স্মিথ আউট হয়ে গেলে ম্যাচের চেহারা অন্যরকম হতো বলেই মনে করছে ইংলিশরা। কারণ তাঁর ১০৫ রানের ইনিংসে পাওয়া দারুণ ভিত্তির পরও কাল সকালে ‘হাইতি-ভূমিকম্পের’ ছোঁয়া লেগেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে!
দিনের দ্বিতীয় ওভারেই হাশিম আমলাকে (৭৫) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জ্যাক ক্যালিসকে (৭) ফেরান রায়ান সাইডবটম। ওই ৭ রান করেই গ্রায়েম সোয়ানের শিকার হন জেপি ডুমিনি। ১ উইকেটে ২০১ রান তোলা দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের পঞ্চম উইকেট হারায় ২৩৫ রানে।
তার পরও ইংল্যান্ড স্বস্তি নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে যেতে পারেনি। যেতে দেয়নি আসলে মার্ক বাউচার আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের অবিচ্ছিন্ন জুটি। লাঞ্চের আগেই ফিফটি করে ফেলেছিলেন বাউচার। ফিফটি থেকে ৭ রান দূরে ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ফিফটিটাকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি দুজনের কেউই। ডি ভিলিয়ার্সের চেয়ে বাউচারের দুঃখটাই বেশি। তিনি আউট হয়েছেন ৯৫ রানে! তবে এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের জন্য সবচেয়ে বড় সান্ত্বনা, ভিলিয়ার্সের সঙ্গে তাঁর ১২০ রানের জুটিটাই শেষ করে দিয়েছে ইংল্যান্ডের দারুণভাবে ফিরে আসার সম্ভাবনা।

No comments

Powered by Blogger.