স্থানীয় প্রস্তুতকারকদের সুযোগ দিতে দরপত্রের শর্ত শিথিল করার দাবি
বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি কেনার ক্ষেত্রে সরকারকে দরপত্রের শর্ত শিথিল করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এফিশিয়েন্ট লাইটিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলমা)। তা না হলে দেশীয় বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি প্রস্তুতকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্র দাখিলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
গতকাল শনিবার সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি কাজী মাহবুবুর রহমান ফিরোজ, সহসভাপতি নুরুল আকতার, সদস্যসচিব হারুন-অর-রশীদ, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, সদস্য এ কাদের খান, জাহাঙ্গীর আলম, মীর টি আই ফারুক রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমান সরকার বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি সরবরাহের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুত্ ঘাটতি সমস্যার দ্রুত সমাধানের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা যেমন সময়োচিত তেমনি বাস্তবোচিত। এ লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এক কোটি পাঁচ লাখ বাতি কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। কিন্তু দরপত্রের যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তাতে দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে না।
সমিতির সভাপতি কাজী মাহবুবুর রহমান জানান, দরপত্রের অন্যতম শর্ত হলো, ‘দেশি-বিদেশি যেসব প্রতিষ্ঠানের আগে ২০ লাখ বাতি সরবরাহের অভিজ্ঞতা রয়েছে, কেবল ওই সব প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নিতে পারবে।’ কিন্তু বাংলাদেশে এর আগে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার বাতি কেনার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। ফলে শর্ত শিথিল করা না হলে বাংলাদেশের বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি (এনার্জি সেভিং ল্যাম্প) উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কেউই এতে অংশ নিতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দরপত্র যেভাবে আহ্বান করা হয়েছে তাতে কেবল চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিতে পারবে। তবে চীনের তৈরি বাতির গুণগতমান ও স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ, স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বাতির মান যাচাই করার জন্য পরীক্ষাগার থাকলেও আমদানি করা বাতি পরীক্ষার জন্য তা নেই।
সমিতির সহসভাপতি নুরুল আকতার বলেন, ১০ বছর আগে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি তৈরি শুরু করে। বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত বাতি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। সরকারি সহায়তা পেলে রপ্তানি আয়ের দিক থেকে বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি খাত আগামী তিন বছরের মধ্যে তৈরি পোশাকের বিকল্প খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের আট-নয়টি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি উত্পাদন করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক উত্পাদনক্ষমতা তিন কোটি পিস বাতি। তবে তিন-চার মাস সময় পেলে এসব কারখানার উত্পাদনক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব হবে। দেশে প্রতি মাসে আট-নয় লাখ বাতির চাহিদা রয়েছে।
সমিতি জানায়, এক কোটি পাঁচ লাখ বাতির পুরোটায় বিদেশি কোম্পানিগুলো সরবরাহ করলে স্থানীয় কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, সরকার বাতি সরবরাহ করায় স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের উত্পাদিত বাতির চাহিদা কমে যাবে।
সমিতির নেতারা বলেন, স্থানীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে সরকারি নীতির সঙ্গে সংগতি রেখে দেশীয় বাতি নির্মাতা কারখানাগুলোর জন্য একটা কোটা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। তাঁরা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৪০ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানান। এ ছাড়া দরপত্রে দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা বাতির জন্য এক বছরের নিশ্চয়তা প্রদানের শর্ত দরপত্রে উল্লেখ রাখার প্রস্তাব করা হয়।
গতকাল শনিবার সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি কাজী মাহবুবুর রহমান ফিরোজ, সহসভাপতি নুরুল আকতার, সদস্যসচিব হারুন-অর-রশীদ, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, সদস্য এ কাদের খান, জাহাঙ্গীর আলম, মীর টি আই ফারুক রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমান সরকার বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি সরবরাহের মাধ্যমে দেশের বিদ্যুত্ ঘাটতি সমস্যার দ্রুত সমাধানের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা যেমন সময়োচিত তেমনি বাস্তবোচিত। এ লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এক কোটি পাঁচ লাখ বাতি কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। কিন্তু দরপত্রের যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তাতে দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে না।
সমিতির সভাপতি কাজী মাহবুবুর রহমান জানান, দরপত্রের অন্যতম শর্ত হলো, ‘দেশি-বিদেশি যেসব প্রতিষ্ঠানের আগে ২০ লাখ বাতি সরবরাহের অভিজ্ঞতা রয়েছে, কেবল ওই সব প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নিতে পারবে।’ কিন্তু বাংলাদেশে এর আগে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার বাতি কেনার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। ফলে শর্ত শিথিল করা না হলে বাংলাদেশের বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি (এনার্জি সেভিং ল্যাম্প) উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কেউই এতে অংশ নিতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দরপত্র যেভাবে আহ্বান করা হয়েছে তাতে কেবল চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিতে পারবে। তবে চীনের তৈরি বাতির গুণগতমান ও স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ, স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বাতির মান যাচাই করার জন্য পরীক্ষাগার থাকলেও আমদানি করা বাতি পরীক্ষার জন্য তা নেই।
সমিতির সহসভাপতি নুরুল আকতার বলেন, ১০ বছর আগে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি তৈরি শুরু করে। বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত বাতি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। সরকারি সহায়তা পেলে রপ্তানি আয়ের দিক থেকে বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি খাত আগামী তিন বছরের মধ্যে তৈরি পোশাকের বিকল্প খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের আট-নয়টি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুত্সাশ্রয়ী বাতি উত্পাদন করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক উত্পাদনক্ষমতা তিন কোটি পিস বাতি। তবে তিন-চার মাস সময় পেলে এসব কারখানার উত্পাদনক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব হবে। দেশে প্রতি মাসে আট-নয় লাখ বাতির চাহিদা রয়েছে।
সমিতি জানায়, এক কোটি পাঁচ লাখ বাতির পুরোটায় বিদেশি কোম্পানিগুলো সরবরাহ করলে স্থানীয় কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, সরকার বাতি সরবরাহ করায় স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের উত্পাদিত বাতির চাহিদা কমে যাবে।
সমিতির নেতারা বলেন, স্থানীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে সরকারি নীতির সঙ্গে সংগতি রেখে দেশীয় বাতি নির্মাতা কারখানাগুলোর জন্য একটা কোটা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। তাঁরা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৪০ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানান। এ ছাড়া দরপত্রে দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা বাতির জন্য এক বছরের নিশ্চয়তা প্রদানের শর্ত দরপত্রে উল্লেখ রাখার প্রস্তাব করা হয়।
No comments