অবরুদ্ধ গাজা

ফিলিস্তিনের গাজার বিভিন্ন দিক দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করেছে ইসরাইলি সেনারা। কার্যত গাজা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। শুক্রবার থেকে সেখানে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।  তারদ ওপর ড্রোন ব্যবহার করে কাঁদানে গ্যাস ফেলা হচ্ছে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছে। উত্তেজিত এসব মানুষ আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ছবি। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। সরকারি হিসাবে, গাজা সীমান্তে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৪০০ ফিলিস্তিনি। জেরুজালেমের বিভিন্ন স্থানে সীমান্তের বাইরে কমপক্ষে পাঁচটি স্থানে অস্থায়ী তাঁবু পেতেছে ফিলিস্তিনিরা। ৬ সপ্তাহ বিক্ষোভ প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। আগামী ১৪ই মে তেলআবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তর হওয়ার কথা রয়েছে। সেই পর্যন্ত এভাবে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তারা। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ করছে। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হচ্ছে ড্রোন দিয়ে। ওদিকে গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, যারা এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন তাদের বয়স ১৬ বছরের মধ্যে। ইসরাইলের সরাসরি গুলিতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০০ মানুষ। অন্যরা আহত হয়েছে রাবার বুলেটে, কাঁদানে গ্যাসে। অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে গাড়ির টায়ারে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করছে ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলি বাহিনী যে এলাকায় সীমান্ত বেষ্টনি তৈরি করেছে তার কয়েক শত গজ দূরেই অস্থায়ী ক্যাম্প পেতেছে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কিশোর-যুবকদের বিরত থাকার আহ্বান জানালেও তাতে কোনো কাজে আসছে না। ইসরাইলি সেনারা তাদেরকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

No comments

Powered by Blogger.