এবারের আনন্দ পুরস্কার পেলেন আনিসুজ্জামান

বাংলাদেশের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাহিত্য গবেষক ড. আনিসুজ্জামান ১৪২৩ সালের আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন। তার আত্মজীবনীর নতুন পর্ব ‘বিপুলা পৃথিবী’র জন্য তাকে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর তরফে এ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। এর আগেও তিনি আনন্দ সম্মাননা পেয়েছেন। নব্বইয়ের দশকে তাকে উপদেষ্টা করে বাংলাদেশ থেকে বেরিয়েছিল হাজার বছরের বাংলা কবিতা, গান ও নাটক নিয়ে ১৪টি ক্যাসেটের সংকলন ‘ঐতিহ্যের অঙ্গীকার’। ১৯৯৪ সালে সে জন্য আনন্দ সম্মাননা দেয়া হয়েছিল তাকে।
আশি বছর বয়সী আনিসুজ্জামানই ছিলেন এবারের বাছাই করা গ্রন্থের লেখকদের মধ্যে প্রবীণতম। তার আত্মজীবনীর নতুন খণ্ড ‘বিপুলা পৃথিবী’ গত বছরেই ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে, এ বই ব্যক্তির জীবন ছাপিয়ে হয়ে উঠেছে উপমহাদেশের সার্বিক ট্র্যাজেডির প্রতিচ্ছবি। এবারের আনন্দ পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন কৃষ্ণা বসু, রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, সেলিনা হোসেন ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মনোনীত করা হয়েছিল তিনটি বই। সেই তালিকায় আনিসুজ্জামানের বই ছাড়াও ছিল অনিতা অগ্নিহোত্রীর ‘মহানদী’ এবং পথিক গুহের ‘ঈশ্বরকণা, মানুষ ইত্যাদি’। তবে পাঁচ বিচারক প্রবীণ সাহিত্য গবেষকের বই-ই চূড়ান্তভাবে বাছাই করেছেন। আনিসুজ্জামানের আত্মজীবনীর প্রথম দুই খণ্ড ‘কাল নিরবধি’ ও ‘আমার একাত্তর’ সাহিত্যরসিকদের কাছে পরিচিত। তৃতীয় খণ্ড ‘বিপুলা পৃথিবী’র বৃত্তান্ত শুরু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে।

No comments

Powered by Blogger.