রাস্তার ওপর ইটভাটার মাটির স্তূপ, ভোগান্তি

ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার ভেলাজান গ্রামে সড়কের ওপর ইটভাটার মাটি কেটে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। মাটির এ স্তূপের কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রায়ই স্তূপ থেকে মাটি নিচের সড়কের ওপর এসে পড়ছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ভেলাজান গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এসএমবি ব্রিকস নামে ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। ভাটার আশপাশের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে এনে ভাটার বিভিন্ন জায়গায় স্তূপ করা হচ্ছে। ভাটার ভেতরে ১৫ থেকে ২০ ফুটের কয়েকটি মাটির স্তূপ রয়েছে। এই ইটভাটার মাটি ওই সড়কের পাশেও রাখা হয়েছে। মাটি রাখতে রাখতে তা চলে এসেছে ওই সড়কের ওপর। মাটির স্তূপ থেকে কয়েকটি বড় আকারের দলা সড়কের ওপরও গড়িয়ে পড়ছে। সে সময় মোটরসাইকেল চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন বালিয়াডাঙ্গীর দুওসুও গ্রামের মো. পারভেজ। গড়িয়ে পড়া একটি মাটির দলা তাঁর মোটরসাইকেলে এসে আঘাত করে। এতে তিনি সড়কের ওপর আছড়ে পড়েন। বালিয়াডাঙ্গীর বারঢালি গ্রামের ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী সড়কের পাশে কেয়া-২ ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে।
ভাটার মাটি রাখা হয়েছে সড়কের পাশে। ওই ভাটার মাটিও চলে এসেছে সড়কের ওপর। পাশে বারঢালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে একই মালিকের কেয়া-১ নামে আরেকটি ভাটার মাটি রাখা হয়েছে সড়কের ওপর। ভেলাজান গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ আলীসহ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সড়কের পাশে ইটভাটার মাটি রাখা হচ্ছে। এতে ছোট-বড় মাটির দলা ও ঝুরঝুরে মাটি এসে পড়ে পাকা সড়কের ওপর। শুকনো মৌসুমে সড়কটির ওপর চলাফেরা করা গেলেও বৃষ্টির সময় কাদায় রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ ছাড়া তাঁরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে এসএমবি ব্রিকসের মালিক মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, রাস্তার পাশে রাখলে মাটি পরিবহনে সময় কম লাগে। এতে কারও কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি নিয়ে এর আগে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। গড়িয়ে পড়া মাটির জন্য দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, যানবাহনের চালক সতর্ক থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার কথা নয়। কেয়া-১ ব্রিকসের ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বলেন, বহুদিন ধরে এভাবে রাস্তার পাশে মাটি রাখা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার কথা তাঁরা শোনেননি। সড়কের পাশে ইটভাটার মাটি রাখার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল ইসলামকে মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন, পাকা সড়ক ঘেঁষে ভাটার মাটি থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এসব ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.