খুলনায় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মেনন

কমরেড হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া আমৃত্যু শ্রমিক ও শ্রমিকশ্রেণির মানুষের স্বার্থে লড়াই করেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সরকারি কলকারখানা ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে এবং সব সময় পাট, বস্ত্রকলের শ্রমিকদের রুটি-রুজির আন্দোলনকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি কোনো কিছুতেই শ্রমিকদের দাবি আদায় থেকে বিচ্যুত হননি। তাই তিনি সারা দেশের শ্রমিকদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড হাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার প্রথম জানাজা শেষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সকাল ১০টায় হাফিজুর রহমানের মরদেহ শহীদ হাদিস পার্কে আনা হয়।
কেন্দ্রীয় ওয়ার্কার্স পার্টি ছাড়াও সেখানে বিভিন্ন জেলা ও মহানগর ১৪ দল, আওয়ামী লীগ, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র, সিপিবি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, ন্যাপ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি, নাগরিক ফোরাম, কৃষক লীগ, ছাত্রমৈত্রী, যুবমৈত্রী, জাতীয় কৃষক সমিতি, নারী মুক্তি সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল; পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, আনিসুর রহমান, মাহমুদুর রহমান, নূর আহমেদ, ইকবাল কবির, হাফিজুর রহমান এমপি, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, টিপু সুলতান এমপি, ইয়াসিন আলী এমপি, দীপংঙ্কর সাহা ও মনোজ সাহা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পার্টির খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক মিনা মিজানুর রহমান। জানাজা শেষে হাফিজুর রহমানের মরদেহ তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মস্থল প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল মাঠে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ দৌলতপুর শহীদ মিনার, ইস্টার্ন জুট মিলস শ্রমিক ময়দান ও ফুলতলা নিয়ে যাওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.