পর্দার আড়ালের সংলাপ কি কেবলই গুজব!

পর্দার আড়ালে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে এক ধরনের সংলাপ চলছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির দুই-তিন জন নেতার কথা হয়েছে বলেও আলোচনা রয়েছে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক জানিয়েছেন, এ ধরনের কোন আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, ড. গওহর রিজভীর সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে আমার দেখা হয়েছিল। তবে আমাদের মধ্যে কোন আলোচনা হয়নি।
বিএনপি কোন ধরনের আন্দোলনে না থাকলেও দলটি এখনও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচনের দাবি থেকে সরে আসেনি। পশ্চিমা কয়েকটি প্রভাবশালী দেশও বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। এসব প্রেক্ষাপটে আগাম নির্বাচন নিয়ে আলোচনা রয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অঘটনে সরকারের মধ্যেও এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে। সরকারের কেউ কেউ রাজনৈতিক সমঝোতার পক্ষে রয়েছেন। তবে সরকারি দলের সিংহভাগ নেতাই মনে করেন, বিএনপি জোট এখন খুবই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। বিএনপির সঙ্গে কোন সমঝোতার প্রয়োজন নেই।
তবে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী গোষ্ঠী যে একমত নয় গতকালের দুটি সংবাদে তা আবারও পরিষ্কার হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ দুটি বিষয় আবারও পরিষ্কার করেছেন। ১. ভারত মনে করে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন জরুরি ছিল। ২. নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের বাংলাদেশ নীতিতে কোন পরিবর্তন আসেনি। একইদিনে আল জাজিরা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বলে যুক্তরাজ্য সরকারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে এখনও এক ধরনের আলোচনা রয়েছে। যদিও কোন দেশই তীব্রভাবে সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত কোন অবস্থানে নেই। এ পরিস্থিতিতেও কোন কোন পর্যবেক্ষক মনে করেন, ২০১৬ সালেই বাংলাদেশে আরেকটি নির্বাচন হতে পারে। এ যখন অবস্থা তখন সাম্প্রতিক সময়ে পর্দার অন্তরালে এক ধরনের সংলাপের জোরালো গুঞ্জন রয়েছে। যদিও ঠিক কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা কোন সূত্রই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।

No comments

Powered by Blogger.