আরও জল্লাদ লাগবে সৌদি আরবে

সৌদি আরবের এক জল্লাদ তাঁর তরবারি খুলে দেখাচ্ছেন।
সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা কিংবা নানা ধরনের
অপরাধের শাস্তি হিসেবে হাত-পা-আঙুল কেটে নেওয়ার
কাজ করতে হয় এই জল্লাদদের। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা বাড়তে থাকায় নতুন আরও আটজন জল্লাদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সৌদি আরবের সরকার। দেশটিতে সাধারণত প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ বা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে।
সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা কিংবা নানা ধরনের অপরাধের শাস্তি হিসেবে হাত-পা-আঙুল কেটে নেওয়ার কাজ করতে হয় এই জল্লাদদের। রয়টার্সের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
রাজতান্ত্রিক শাসনে থাকা মুসলিম দেশ সৌদি আরবে এ বছর এর মধ্যেই ৮৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। রোববার এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মধ্য দিয়ে এই সংখ্যা ৮৫ জনে পৌঁছাল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি। নিউইয়র্ক ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসাব অনুসারে গত বছর দেশটিতে মোট ৮৮জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে সেই সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৯০।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি অনুসারে বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হিসাবে শীর্ষ পাঁচ দেশের একটি সৌদি আরব। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে ২০১৪ সালে এ ব্যাপারে চীন ও ইরানের পর তৃতীয় অবস্থানে ছিল সৌদি আরব। আর যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্র।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, গত বছর কার্যকর করা মৃত্যুদণ্ডগুলোর বেশির ভাগই ছিল হত্যাকাণ্ডের শাস্তি। তবে, এর মধ্যে ৩৮টি ছিল মাদক সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রায় অর্ধেকই সৌদি নাগরিক। বাকিরা পাকিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, জর্ডান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, চাদ, ইরিত্রিয়া, ফিলিপাইনস ও সুদানের নাগরিক।
সৌদি আরবের সিভিল সার্ভিস জব পোর্টালে সম্প্রতি প্রচারিত চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে জল্লাদের এই পদটিকে বেসামরিক প্রশাসনের নিচের স্তরে ‘ধর্মীয় আদেশ কার্যকরকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.