আ.লীগ প্রার্থীর পক্ষে নেই নেতারা
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক ইকবাল হোসেন গতকাল বিকেলে ওয়াক আপ কলোনিতে গণসংযোগ করেন l প্রথম আলো |
আহম্মদনগরে নির্বাচনী কার্যালয়ে গতকাল মতবিনিময় করেন আ.লীগ–সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শিরিন রুখসানা l প্রথম আলো |
দলবল
নিয়ে রাজধানীর টোলারবাগ এলাকায় গতকাল শনিবার সকালে গণসংযোগ করছিলেন
মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দলের সমর্থন পাননি, তবু নির্বাচন করছেন। এই
ওয়ার্ডে দলের সমর্থন পাওয়া শিরিন রুখসানার অভিযোগ, ‘ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের
কোনো নেতা আমাকে সহায়তা করছেন না।’
ইকবাল হোসেন ছাড়াও আওয়ামী লীগের সমর্থন না পাওয়া আরও দুই প্রার্থীও লড়ছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে। সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা এলাকায় এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
গণসংযোগ চালানোর সময় কথা হয় ইকবাল হোসেনের সঙ্গে। দল-সমর্থিত প্রার্থী শিরিন রুখসানা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘ওই মহিলার সঙ্গে কেউ নেই। আমার এলাকায় হুট করে একজনকে দিলে কেন মেনে নেব।’ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের ইফেক্ট পড়ে না। এটা তো আওয়ামী লীগ-ধানের শীষ না।’
সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) শিরিন রুখসানা এবার সরাসরি কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংযোগ শুরু করেননি। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক ‘রেডিও’। আহম্মদনগর এলাকায় নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে গতকাল প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তাঁরা কেউ (ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা) আমার পক্ষে আসেননি। দলের প্রতি আনুগত্য যদি থাকে, দল-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।’
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাদের অন্য প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার বিষয়ে শিরিন রুখসানার মন্তব্য, বিএনপি প্রতিযোগিতায় থাকবে। আওয়ামী লীগের লোকজন দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন, এটা ঠিক নয়।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিমাংশু কিশোর দত্ত ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা মো. খোরশেদ আলম দলীয় সমর্থন না পেলেও এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছেন। গতকাল মুঠোফোনে হিমাংশু কিশোর বলেন, ‘৩১ বছর ধরে রাজনীতি করি। মামলা-নির্যাতন সহ্য করেছি। দেখি, এলাকার লোকজন কী চায়।’ দল-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন কি না—জানতে চাইলে খোরশেদ আলম বলেন, ‘নিজেই দাঁড়িয়ে গেছি। কীভাবে কাজ করি, বলেন।’
গত শুক্রবার এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. বাবুল আকতারকে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংযোগ শুরুও করেছেন। নিজের পক্ষে জনসমর্থনের বিষয়ে বাবুল আকতার বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা। সামাজিক কর্মকাণ্ড করি। এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে।’
টোলারবাগ, আনসার ক্যাম্প, বিশিল, আহম্মদনগর ও শাহ আলীবাগ নিয়ে গঠিত ১ দশমিক ৬৯৭ বর্গকিলোমিটারের এই ওয়ার্ড। ওয়ার্ডের মোট ভোটার ৮২ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪২ হাজার ৯৮৬ জন আর নারী ৩৯ হাজার ৬১১ জন।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, টোলারবাগ আবাসিক এলাকা থেকে মিরপুর ১ নম্বর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখল করে অসংখ্য দোকান গড়ে উঠেছে। টোলারবাগ আবাসিক এলাকা, আনসার ক্যাম্প, সরকারি এ-টাইপ কলোনি, ওয়াক-আপ কলোনি এলাকার ফুটপাতে গড়ে ওঠা দোকানের কারণে পথচারীদের মূল সড়কেই হাঁটতে হচ্ছে।
সরকারি এ-টাইপ কলোনির সামনে প্রধান সড়কের প্রায় ১০০ গজ জায়গাজুড়ে ময়লা রাখার স্থান। আশপাশের এলাকা থেকে ময়লা এখানে ফেলা হয়। সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি এসে পরিষ্কার করার আগ পর্যন্ত এখানেই পড়ে থাকে। একটিমাত্র ময়লার কনটেইনার থাকায় বেশির ভাগ ময়লাই বাইরে পড়ে থাকে।
কলোনির বাসিন্দা মো. ফারহান বললেন, দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলছে। দুর্গন্ধ ঘরের ভেতর পর্যন্ত চলে আসে। বহুবার সিটি করপোরেশনে জানানোর পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অফিস হয়েছে, কিন্তু অবস্থা বদলায়নি।
এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার সড়কের বেহাল দশা। আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাপাখানা মোড় পর্যন্ত সড়ক, দক্ষিণ বিশিল থেকে ১ নম্বর কো-অপারেটিভ মার্কেট পর্যন্ত সড়ক, শাহ আলীবাগের ধানখেতের মোড় ও আশপাশের কিছু সড়ক, কলওয়ালাপাড়ার ভেতরের সড়কগুলো এবড়োখেবড়ো, ভাঙাচোরা।
গতকাল এই ওয়ার্ডের অন্তত ৪০ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁদের অধিকাংশই জানান, এলাকায় মশার উপদ্রব প্রকট। মাঝেমধ্যেই গ্যাস ও পানির সংকট দেখা দেয়। দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে ওয়াসার পানির লাইনে।
এই ওয়ার্ডের কিছু জায়গায় রয়েছে অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সমস্যা। পূর্ব আহম্মদনগরের কিছু সড়ক, জোনাকী রোড, হাবুলের পুকুরপাড়, কলওয়ালাপাড়া, ধানখেতের মোড়ে অল্প সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতার।
ইকবাল হোসেন ছাড়াও আওয়ামী লীগের সমর্থন না পাওয়া আরও দুই প্রার্থীও লড়ছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে। সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা এলাকায় এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
গণসংযোগ চালানোর সময় কথা হয় ইকবাল হোসেনের সঙ্গে। দল-সমর্থিত প্রার্থী শিরিন রুখসানা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘ওই মহিলার সঙ্গে কেউ নেই। আমার এলাকায় হুট করে একজনকে দিলে কেন মেনে নেব।’ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের ইফেক্ট পড়ে না। এটা তো আওয়ামী লীগ-ধানের শীষ না।’
সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) শিরিন রুখসানা এবার সরাসরি কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংযোগ শুরু করেননি। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক ‘রেডিও’। আহম্মদনগর এলাকায় নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে গতকাল প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তাঁরা কেউ (ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা) আমার পক্ষে আসেননি। দলের প্রতি আনুগত্য যদি থাকে, দল-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।’
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাদের অন্য প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার বিষয়ে শিরিন রুখসানার মন্তব্য, বিএনপি প্রতিযোগিতায় থাকবে। আওয়ামী লীগের লোকজন দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন, এটা ঠিক নয়।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিমাংশু কিশোর দত্ত ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা মো. খোরশেদ আলম দলীয় সমর্থন না পেলেও এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছেন। গতকাল মুঠোফোনে হিমাংশু কিশোর বলেন, ‘৩১ বছর ধরে রাজনীতি করি। মামলা-নির্যাতন সহ্য করেছি। দেখি, এলাকার লোকজন কী চায়।’ দল-সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন কি না—জানতে চাইলে খোরশেদ আলম বলেন, ‘নিজেই দাঁড়িয়ে গেছি। কীভাবে কাজ করি, বলেন।’
গত শুক্রবার এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. বাবুল আকতারকে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংযোগ শুরুও করেছেন। নিজের পক্ষে জনসমর্থনের বিষয়ে বাবুল আকতার বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা। সামাজিক কর্মকাণ্ড করি। এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে।’
টোলারবাগ, আনসার ক্যাম্প, বিশিল, আহম্মদনগর ও শাহ আলীবাগ নিয়ে গঠিত ১ দশমিক ৬৯৭ বর্গকিলোমিটারের এই ওয়ার্ড। ওয়ার্ডের মোট ভোটার ৮২ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪২ হাজার ৯৮৬ জন আর নারী ৩৯ হাজার ৬১১ জন।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, টোলারবাগ আবাসিক এলাকা থেকে মিরপুর ১ নম্বর পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখল করে অসংখ্য দোকান গড়ে উঠেছে। টোলারবাগ আবাসিক এলাকা, আনসার ক্যাম্প, সরকারি এ-টাইপ কলোনি, ওয়াক-আপ কলোনি এলাকার ফুটপাতে গড়ে ওঠা দোকানের কারণে পথচারীদের মূল সড়কেই হাঁটতে হচ্ছে।
সরকারি এ-টাইপ কলোনির সামনে প্রধান সড়কের প্রায় ১০০ গজ জায়গাজুড়ে ময়লা রাখার স্থান। আশপাশের এলাকা থেকে ময়লা এখানে ফেলা হয়। সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি এসে পরিষ্কার করার আগ পর্যন্ত এখানেই পড়ে থাকে। একটিমাত্র ময়লার কনটেইনার থাকায় বেশির ভাগ ময়লাই বাইরে পড়ে থাকে।
কলোনির বাসিন্দা মো. ফারহান বললেন, দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলছে। দুর্গন্ধ ঘরের ভেতর পর্যন্ত চলে আসে। বহুবার সিটি করপোরেশনে জানানোর পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অফিস হয়েছে, কিন্তু অবস্থা বদলায়নি।
এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার সড়কের বেহাল দশা। আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাপাখানা মোড় পর্যন্ত সড়ক, দক্ষিণ বিশিল থেকে ১ নম্বর কো-অপারেটিভ মার্কেট পর্যন্ত সড়ক, শাহ আলীবাগের ধানখেতের মোড় ও আশপাশের কিছু সড়ক, কলওয়ালাপাড়ার ভেতরের সড়কগুলো এবড়োখেবড়ো, ভাঙাচোরা।
গতকাল এই ওয়ার্ডের অন্তত ৪০ জন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁদের অধিকাংশই জানান, এলাকায় মশার উপদ্রব প্রকট। মাঝেমধ্যেই গ্যাস ও পানির সংকট দেখা দেয়। দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে ওয়াসার পানির লাইনে।
এই ওয়ার্ডের কিছু জায়গায় রয়েছে অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সমস্যা। পূর্ব আহম্মদনগরের কিছু সড়ক, জোনাকী রোড, হাবুলের পুকুরপাড়, কলওয়ালাপাড়া, ধানখেতের মোড়ে অল্প সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতার।
No comments