আলোচনা- 'বাংলাদেশে মিডিয়া ও তার ভবিষ্যৎ' by সাইফুল বারী

বাংলাদেশে মিডিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে হলে এর অতীত ও বর্তমান অবস্থার কথা বলতে হবে। এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অন্যান্য সেক্টরের মতো পত্র-পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশনেও নতুন এক অবস্থার সৃষ্টি হয়।

সৃষ্টি হয় নতুন এক সম্ভাবনা এবং এক চ্যালেঞ্জের। নতুন আঙ্গিকে একটি স্বাধীন দেশের চাহিদা মেটানোর মতো লোকবল, কারিগরি সুযোগ, অবকাঠামো ও আর্থিক সুবিধা প্রচুর পরিমাণে না থাকলেও কিছুটা ছিল। পত্রিকার মধ্যে দৈনিক বাংলা এবং একটি মাত্র রেডিও_ বাংলাদেশ বেতার ও একটি টেলিভিশন_বাংলাদেশ টেলিভিশন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলত। এগুলো চালানোর মতো দক্ষ জনবল ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা কিছুটা থাকায় মিডিয়া জগৎ অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো অতটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েনি। পাকিস্তান আমলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই মূলত এগুলোকে চালু রাখতে সক্ষম হন। তবে দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতা বদলাতে একটু সময় লেগে যায়।
প্রথমেই বদলে যায় এগুলোর নাম। 'দৈনিক পাকিস্তান' হয়ে যায় 'দৈনিক বাংলা', 'পাকিস্তান অবজারভার' হয়ে যায় 'বাংলাদেশ অবজারভার', 'রেডিও পাকিস্তান' হয়ে যায় 'বাংলাদেশ বেতার' এবং 'পাকিস্তান টেলিভিশন' হয়ে যায় 'বিটিভি'। ব্যক্তিমালিকানায় চলত দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলার বাণী ও দৈনিক আজাদ। এগুলোর নাম পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়নি। আরো কয়েকটি দৈনিক প্রকাশিত হতো; কিন্তু সেগুলোর সার্কুলেশন তেমন একটা ছিল না। দৈনিক সংগ্রাম চলতে লাগল ইসলামী আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে। একসময় দৈনিক আজাদ বন্ধ হয়ে যায়। এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কাজ পান । সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতে চলতে একদিন দৈনিক বাংলাও বন্ধ হয়ে গেল। সরকার এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টাকা-পয়সা দিয়ে বিদায় করে দিল। একসময় ব্যক্তিমালিকানার বাংলার বাণীও বন্ধ হয়ে গেল। এ তিনটি পত্রিকা একদিকে বন্ধ হলো অন্যদিকে বেশ কয়েকটি দৈনিক জন্ম নিল খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো_ বাংলায় 'জনকণ্ঠ', 'যুগান্তর' এবং ইংরেজিতে 'ডেইলি স্টার', 'নিউ এজ', 'মর্নিং সান' ও 'ফিনান্সিয়াল টাইম'। একসময় 'মর্নিং সান' বন্ধ হয়ে গেল। রেডিও শুরু থেকেই ছিল সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং টেলিভিশন ছিল আধা-সরকারি। বঙ্গবন্ধু সরকারপ্রধান থাকাকালীন টেলিভিশন রাতারাতি সরকারি ডিপার্টমেন্টে পরিণত হলো। অর্থাৎ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হলো রেডিও এবং টেলিভিশনকে। এগুলো সম্পূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে যাওয়ায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আসতে লাগল সরকারি খাত থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এগুলো সরকারের প্রোপাগান্ডা মেশিনারি হিসেবে ব্যবহৃত হলো। একসময় এগুলোকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালু রাখার কথা উঠলেও সেটা বাস্তবায়িত হলো না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায়, টেলিভিশনকে স্বায়ত্তশাসন দেয়ার ব্যবস্থা চূড়ান্ত হলেও তা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হলো না। তবে নতুন এক অবস্থার সৃষ্টি হলো। চালু হলো টেলিভিশন সম্পূর্ণ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। সরকারি টেলিভিশনের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন চালু হওয়ায় শুরু হলো প্রতিযোগিতা। বিটিভির মনোপলি আর থাকল না। বিটিভির সংবাদের ব্যাপারে দর্শকের আপত্তি থাকলেও অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অতটা ছিল না। বরং একসময় বিটিভির অনুষ্ঠান দেশ ও বিদেশে জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়। অবশ্য অনুষ্ঠানের সে মান বিটিভি ধরে রাখতে পারেনি। তার প্রধান কারণ রাজনৈতিক প্রভাব। যে দল যখন ক্ষমতায় আসে বিটিভিকে তার নিজস্ব সম্পত্তি ভেবে পলিসি থেকে শুরু করে ওপরের দিকের কর্মকর্তাদের বদলে ফেলার নিয়ম চালু করল। অর্থাৎ বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন বিটিভি বিএনপির লোকজনের দখলে, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় তখন আওয়ামী লীগের দখলে। একসময় এ দখল এমন একটা পর্যায়ে চলে গেল, সংবাদ পাঠ ও অনুষ্ঠানে দলীয় লোকজন এবং আত্দীয়স্বজনের আধিক্য দাঁড়াল চোখে পড়ার মতো। স্বাভাবিকভাবেই মান নিম্নগামী হতে লাগল। টেরিস্ট্রিয়াল সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বিটিভি জনপ্রিয়তা হারাল। বেসরকারি চ্যানেলগুলো কেবল টিভি হওয়া সত্ত্বেও জনপ্রিয় হতে শুরু করল। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনের মধ্যে বর্তমানে তেমন একটা প্রতিযোগিতা চোখে পড়ে না। বরং বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলোর মধ্যেই প্রতিযোগিতা টেলিভিশনে সংবাদ ও অনুষ্ঠানের মান বাড়াতে সাহায্য করল। সরকার টেলিভিশনকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ায় মানুষ একঘেয়েমি থেকে বাঁচল, উন্নতমানের অনুষ্ঠান এবং অনেকটা বস্তুনিষ্ঠ খবর দেখার সুযোগ পেল। বর্তমানে প্রতিযোগিতা এতটাই তীব্র যে ভালো অনুষ্ঠান এবং সঠিক তথ্য ও বিশ্লেষণ প্রচারে তৎপরতা প্রচণ্ড রকম বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি কারিগরি দিক ও পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। এটা একটা শুভ লক্ষণ। তবে ব্যক্তিমালিকানায় থাকা এসব বেসরকারি চ্যানেলের কোনো কোনোটা বর্তমানে স্বার্থের খাতিরে কখনো কখনো পেশাগত দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ছে। আশার কথা, সরকারের হস্তক্ষেপ কম থাকায় বেসরকারি চ্যানেলগুলো ক্রমেই সাহসী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হচ্ছে। সম্প্রতি সরকার তথ্য অধিকার বা জরমযঃ ঃড় ওহভড়ৎসধঃরড়হ আইন পাস করার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করায় টেলিভিশন ও খবরের কাগজগুলো দর্শকশ্রোতা এবং পাঠকদের চাহিদার দিকে দৃষ্টি দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। যদিও তথ্য অধিকার বিলে অনেক কিছুই আছে, যা মিডিয়ার সংবাদ সংগ্রহের পরিপন্থী। অর্থাৎ তথ্য অধিকার বিল নিয়ে এখনো অনেকের মনে দ্বিধা রয়ে গেছে। তথ্য সংগ্রহ এবং তথ্য দেয়ার বিষয়ে এমন সব শর্ত দেয়া আছে, যা মিডিয়ার জন্য অগ্রহণযোগ্য। সাধারণ মানুষের তথ্য জানার ব্যাপারেও বাধা। তবু মিডিয়া অনেকাংশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখতে পারছে।

বর্তমানে কথাবার্তা চলছে ব্রডকাস্টিং নীতিমালা নিয়ে। বেসরকারি খাতে বর্তমানে চালু আছে নয়টি চ্যানেল। সরকারি একটি। এগুলো কাড়াকাড়ি করছে মোট ১৫০ কোটি টাকার অ্যাড বাজেট নিয়ে। অল্প দিনের মধ্যে আরো আসছে ১০টি টেলিভিশন বেসরকারি খাতে। চিন্তার বিষয় হলো এগুলো চলবে কী দিয়ে। শুধু অ্যাড থেকে অর্জিত টাকায় এতগুলো চ্যানেল আর্থিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে কি না সে সম্পর্কে সন্দেহ থেকে যায়। তারপরও থেমে থাকছে না অগ্রযাত্রা। প্রশ্ন থেকে যাবে পেশাগত মান নিয়ে। বুঝতে কষ্ট হয় না, যারা বর্তমানে বেসরকারি খাতে টেলিভিশনের মালিক এবং ভবিষ্যতে যারা মালিক হতে যাচ্ছেন, তারা পুঁজি বিনিয়োগের আগে খোঁজ করবেন অভিজ্ঞ ও পেশাগতভাবে দক্ষ লোকবল। এখানে অর্থ থাকলেও সঠিক লোক পাওয়া এতটা সহজ হবে না। এর কারণ খুঁজতে বেশিদূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এদেশে এখনো চাহিদা মেটানোর মতো দক্ষ ও কার্যকর ট্রেনিং ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। কথাটা প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যাপারেও সত্য। বর্তমানে প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য একমাত্র ট্রেনিং ব্যবস্থা রয়েছে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রেস ইনস্টিটিউটে। বিভিন্ন কারণে এর সাফল্য ততটা উল্লেখযোগ্য নয়। একইভাবে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার জন্য রয়েছে একমাত্র ট্রেনিং ব্যবস্থা নিমকোতে সরকারি ব্যবস্থাপনায়। প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন আছে। উন্নত দেশগুলোতে, এমনকি ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশেও বেসরকারি খাতে অতি উঁচুমানের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ফলে সেখানে দক্ষ লোকবল পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না। অস্বীকার করে লাভ নেই, প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ট মানের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট না থাকায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ইন-হাউস ট্রেনিংয়ের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
যেসব টিভি চ্যানেল বাজারে নতুন নামছে তারা সর্বশেষ প্রযুক্তি সংবলিত কারিগরি সুবিধা নিয়েই কাজ শুরু করছে। এখানেও দক্ষ জনবলের অভাব। সুতরাং শুরুতে অনেককেই বিদেশিদের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। হয়তো ভবিষ্যতে হবে না। দেশে যাঁরা আছেন তাঁদের নিয়ে কাড়াকাড়ি। মজার ব্যাপার, যতই নতুন নতুন চ্যানেল আসছে ততই সীমিত সংখ্যক দক্ষ কর্মকর্তা ও সাংবাদিক নিয়ে চলছে টানাটানি। এ অবস্থা বেশিদিন চললে মিডিয়া জগতের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে।
প্রিন্ট মিডিয়ার অবস্থা একটু আলাদা। এখানে অভিজ্ঞ ও যোগ্য জনবলের অভাব ততটা নয়। তার প্রধান কারণ এখানে প্রযুক্তি ও পেশাগত সুযোগ-সুবিধা অনেকটাই সহজসুলভ। তা ছাড়া প্রশিক্ষণ ততটা সীমিত নয়। তারপরও এক্ষেত্রে আরো দক্ষ ও যোগ্য সাংবাদিক প্রয়োজন।
দরিদ্র দেশ হলেও বাংলাদেশে দর্শক ও পাঠকের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও একটি শিক্ষিত ও সুন্দর সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে আরো সময় লাগবে। একটি জরিপে দেখা যায়, দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখনো টেলিভিশনের আওতায় আসেনি। নিরক্ষরতা দূর করার ব্যাপারে অনেকটা সাফল্য অর্জিত হলেও পাঠকের সংখ্যা এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পেঁৗছতে পারেনি।
এদেশে মিডিয়া জগতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী না হওয়ার কোনো কারণ নেই। এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে সরকার, মালিক এবং পেশাজীবী সাংবাদিকদের। মিডিয়ায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ এখনো ততটা উৎসাহব্যঞ্জক নয়। তার প্রধান কারণ বাজার ও নিরাপত্তার অভাব, সাংবাদিকদের ইউনিয়ন বিভক্ত, সাংবাদিকরা বিভক্ত বিভিন্ন গ্রুপে। তাদের সমস্যা সমাধানে সরকার ও মালিকপক্ষ মুখে সহানুভূতি দেখালেও আজো অনেক দৈনিক পত্রিকায় ওয়েজবোর্ড পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আজো করপোরেট চরিত্র গড়ে তুলতে পারেনি। ফলে যেমন কোনো নীতিমালা নেই, তেমনি নেই সুযোগ-সুবিধার নিয়ম-কানুন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে মিডিয়া ক্রমেই সাহসী ভূমিকা রাখছে। তবে সাংবাদিকদের সততা ও যোগ্যতা নিয়ে এখনো প্রশ্ন উঠছে। এর প্রধান কারণ সাংবাদিকতা পেশায় ঢোকার আগে অনেকেই শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও মানসিকতা নিয়ে ঢোকেন না। একটি কর্মসংস্থানের সূত্র হিসেবে ঢুকে পড়েন। তা ছাড়া যাঁরা এ জগতে বিচরণ করতে চান তাঁদের অনেকেই চাকরির নিরাপত্তাহীনতার কারণে একে পূর্ণ পেশা হিসেবে নিতে চান না। আসলে মিডিয়া জগতের লক্ষ্য সম্পর্কে আমাদের সম্পূর্ণ সচেতন হতে হবে।
==========================
প্রবন্ধ- রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেনের 'অবরোধবাসিনী'  ফিচার- ‘হিমশীতল শহরগুলোর দিনরাত' by তামান্না মিনহাজ  গল্পালোচনা- ''সে কহে বিস্তর মিছা যে কহে বিস্তর'  সাক্ষাৎকার- হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইমদাদুল হক মিলন  ইতিহাস- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের ফসিল 'স্যু' এর কাহিনী  খাদ্য আলোচনা- 'অপুষ্টির প্রধান কারণ দারিদ্র্য ও অজ্ঞতা by শেখ সাবিহা আলম  গল্পালোচনা- 'ডান রাস্তার বামপন্থী' by কাওসার আহমেদ  খবর- 'মারা যাবে না একটি শিশুও' -বিলগেটসপত্নী, মেলিন্ডা গেটস  আলোচনা- 'সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের অঙ্গীকারঃ  নিবন্ধ- সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড-একটি দেশ একটি কবিতার জন্ম by আলীম আজিজ  আলোচনা- 'আরও একটি সর্বনাশা দেশ চুক্তির বোঝা' by আনু মাহমুদ  গল্পালোচনা- হতাশার বিষচক্র থেকে জাতিকে মুক্ত করতে হবে




কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ সাইফুল বারী



এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...

free counters

No comments

Powered by Blogger.