‘পর্যবেক্ষক’ হুদার প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

গত ৫ জুন প্রথম আলোর খেলার পাতায় প্রকাশিত ‘পর্যবেক্ষকের খোঁজ নেই’ খবরটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও ইংল্যান্ড সফরে দলের সঙ্গে পর্যবেক্ষক হিসেবে যাওয়া ইমতিয়াজ আহমেদ সামসুল হুদা।
প্রতিবাদে তিনি দাবি করেছেন, পর্যবেক্ষক হিসেবে তাঁর ইংল্যান্ড সফর ছিল ২৪ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত। এই ১০ দিনে একটি টেস্ট ‘কাভারেজের’ দায়িত্বই নাকি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। প্রথম টেস্টের পর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিজ খরচে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে তিনি সস্ত্রীক কানাডায় যান। এ ছাড়া ইংল্যান্ড সফরে দলনেতা জালাল ইউনুসসহ বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কয়েক দফা সভা করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি প্রতিবাদে। ‘পর্যবেক্ষকের খোঁজ নেই’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিকে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনটি ইংল্যান্ডে সফররত জাতীয় দলের ক্রিকেটার, টিম স্টাফ এবং দলের সঙ্গে থাকা বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসের সঙ্গে কথা বলে এবং তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ীই করা হয়েছে। প্রতিবেদনে মনগড়া কোনো তথ্য ব্যবহার করা হয়নি।
ইমতিয়াজ আহমেদ সামসুল হুদার প্রতিবাদের পর বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করে জানা গেছে, দলের সঙ্গে কোনোরকম সভাই তিনি করেননি। দু-একজন ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফের সঙ্গে লন্ডনের হোটেল লবিতে দু-একবার দেখা হওয়া ছাড়া কারও সঙ্গে তাঁর সেভাবে কথাও হয়নি। আর দলনেতা জালাল ইউনুসের বক্তব্য তো প্রতিবেদনেই ছাপা হয়েছে। পর্যবেক্ষক কোথায়—জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘ম্যানচেস্টারে আসার পর ওনার (ইমতিয়াজ আহমেদ সামসুল হুদা) সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। জানি না, উনি কোথায় আছেন। শুনেছি, লর্ডস টেস্টের শেষ দিনে তিনি লন্ডন থেকেই সস্ত্রীক কানাডা চলে গেছেন। তবে আমাকে জানিয়ে যাননি।’ দলনেতাই যেখানে জানেন না, কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কানাডা যাওয়ার দাবিটি কি তারপরও টেকে?
আর ইমতিয়াজ আহমেদ সামসুল হুদা যদি ওই ১০ দিনের জন্যই ইংল্যান্ড সফরে এসে থাকেন, তাহলে দলনেতা হিসেবে সেটা জানার কথা বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুসের। কিন্তু জালাল ইউনুস সে রকম কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.