গেইলকে হারিয়ে দিলেন জয়াবর্ধনে

নিজেদের ইনিংস শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পাওয়ারই কথা। ক্রিস গেইলের ঝড়ে প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২০০ রান তুলেছিল স্বাগতিকেরা। এত বড় রান তো বটেই, কলকাতার জয় নিশ্চিত দেখাচ্ছিল প্রতিপক্ষের নাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বলে। টানা চার ম্যাচ হেরে কলকাতায় খেলতে এসেছিল পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে থাকা দলটি। যাদের আগের আট ম্যাচে জয় ছিল একটিই। সেই পাঞ্জাব কাল ইডেনে হারিয়ে দিল সৌরভ গাঙ্গুলীর দলকে। মাহেলা জয়াবর্ধনের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে পাঞ্জাব জিতল ৮ উইকেটে, ১০ বল হাতে রেখে!
বৃথাই গেল গেইলের ৪২ বলে খেলা ৮৮ রানের ইনিংস। ৩১ বলে সৌরভের ৩৬ রানের ইনিংসটার কথাও বলতে হবে। মারকুটে গেইলের পাশে ম্লান ছিল হয়তো, কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এক পাশে হাল ধরে রাখার কাজটি ভালোমতোই করেছেন মনোজ তিওয়ারি। গেইলের দিনে পার্শ্বচরিত্র হয়ে থাকাই তো ভালো। ৬টি চারের পাশাপাশি ৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন গেইল। এর চারটি ছক্কাই রবি বোপারার এক ওভারে। ১৩তম ওভারটিই অপয়া গেছে পাঞ্জাবের। ওই ওভারে উঠেছে ৩৩ রান।
আইপিএলের সবচেয়ে খরুচে ওভারের রেকর্ড করেও জয়ের তৃপ্তি নিয়ে বোপারা যে মাঠ ছাড়তে পারলেন, এর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত মাহেলা জয়াবর্ধনের কাছে। ৫৯ বলে ১১০ রানের ইনিংসে ১৪টি চার আর ৩টি ছক্কা মেরেছেন জয়াবর্ধনে। কলকাতার নখদন্তহীন বোলিং আর মরা উইকেটকেও ধন্যবাদ দেওয়া যায়। পঞ্চাশের ঘরে দুটি আর দ্বিতীয় উইকেটে দুই লঙ্কান সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের ৯৮ রানের জুটি অনায়াসে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে পাঞ্জাবকে।
এই জয়ে প্রীতি জিনতার দলের যতটা লাভ হয়েছে, তার চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছে শাহরুখ খানের দলের। জিতলে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ চারে উঠে যেত তারা। সেমিফাইনালের আশাটা উজ্জ্বল হতো। ৮ ম্যাচের সাতটিই জিতে যে তালিকায় সবার ওপরে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
অন্য ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে (১৪৭/৯) ৩৭ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (১৮৪/৫)। নয় ম্যাচে দিল্লির পয়েন্ট এখন ১২, সমান ম্যাচে বেঙ্গালুরুর ১০। কালকের আগ পর্যন্ত দু দলের পয়েন্ট সমান ১০ থাকলেও রান রেটে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বেঙ্গালুরু, দিল্লি ছিল তাদের ঠিক পেছনে।

No comments

Powered by Blogger.