তথ্যপ্রযুক্তি হতে পারে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত

২০২১ সালের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাত (আইসিটি) দেশের রপ্তানি আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাতে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আমদানি করা পণ্যের শুল্কায়নে প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শন (পিএসআই) পদ্ধতি তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) মাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। ভোজসভার এবারের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যত্’।
অ্যামচেমের সভাপতি আফতাব উল ইসলাম এতে স্বাগত বক্তব্য দেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি খালিদ হাসান, কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ, সদস্য স্টিভেন এন উইলসন, দেবাশীষ দেব, জিয়া ইউ আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক এ গফুর, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স নিকোলাস জে ডিন, সাবেক সচিব ফারুক সোবহান প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতির ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু বলা হচ্ছে। সরকারের দিক থেকে স্বচ্ছতা রয়েছে এ ব্যাপারে। এর মধ্যে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও করা হয়েছে।’
তথ্যপ্রযুক্তি এবং সড়ক ও রেল যোগাযোগের উন্নয়নকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম দুই গুরুত্বপূর্ণ খাত বলে আখ্যা দেন অর্থমন্ত্রী। উন্নয়নের জন্য সুশাসনের প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিকে জনগণের নাগালের মধ্যে আনতে হবে। রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রেই দরকার তথ্যপ্রযুক্তির কার্যকর প্রয়োগ। সরকারঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়িত হলে সুশাসনেরও অনেক কাজ হবে, ফিরে আসবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। তবে এক দিনেই তা করা সম্ভব হবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক হাজার ৮০০টি পণ্যে বর্তমানে পিএসআই বাধ্যতামূলক। এ পদ্ধতি তুলে দেওয়া হবে। পণ্যের শুল্কায়নের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি চালু করার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, এ ব্যাপারে কাজ চলছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্রোকার, বিনিয়োগকারী ও তারল্যের দিক থেকে দেশের পুঁজিবাজার অনেক বড় হয়েছে। আর বাজার যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁরা সংকুচিত। গোটা পুঁজিবাজারেরই সংস্কার দরকার বলে তিনি মনে করেন।
অ্যামচেমের সভাপতি বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) আকর্ষণে বেসরকারি খাতের মুনাফার নিশ্চয়তা একটি অন্যতম দিক। তা না হলে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসবে না। তিনি বলেন, দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি-সংকটে বিনিয়োগ হচ্ছে না। আর ওদিকে পিপিপির নীতিনির্দেশনাই এখনো তৈরি হয়নি।
দেশের বিভিন্ন খাতের আইন যুগোপযোগী করার পরামর্শ দেন আফতাব উল ইসলাম। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘মেক্সিকোতে ছয় বছরে আইনকানুনের ৯০ শতাংশ পরিবর্তন করা হয়েছে। বাংলাদেশেও তা অসম্ভব নয়।’

No comments

Powered by Blogger.