পিপিপির ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনার আহ্বান

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরের অত্যাধুনিক নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছে নবগঠিত চট্টগ্রাম বন্দর বার্থ অপারেটর ও শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন। প্রয়োজনে বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই টার্মিনাল পরিচালনার সুযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানায় অ্যাসোসিয়েশন।
চট্টগ্রাম নগরের পিটস্টপ রেস্তোরাঁয় গতকাল বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা এ আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে একরাম চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বন্দর কর্তৃপক্ষ এই এনসিটি তৈরির জন্য প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে। সেখানে কয়েক শ কোটি টাকার যন্ত্রপাতির জন্য বিদেশি অপারেটরদের হাতে এই টার্মিনাল পরিচালনার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। সংসদীয় কমিটি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে বলে সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে ভারত ও মালয়েশিয়ার সাতটি বন্দর পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বন্দরের অপারেটররা। তাঁরা দাবি করেন, ভারত ও মালয়েশিয়ার বন্দরের চেয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেটররা অনেক বেশি দক্ষ। বন্দরের কনটেইনার ওঠানো-নামানোয় অপারেটরদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। তাঁরা চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের নৌবন্দর ও স্থলবন্দরের জন্য একটি সমন্বিত আইনি কাঠামো তৈরির আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অপারেটরদের অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, এম এ বকর, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, বার্থ অপারেটর এম এইচ চৌধুরী লিমিটেডের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.