এবার দেখা যাবে অন্য শাহাদাতকে!

অভিযোগগুলো এক দিক দিয়ে গুরুতরই। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলে ফিরে আসার পর শাহাদাত হোসেনকে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের যে সূচি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো তিনি অনুসরণ করেননি। ‘এ’ দলের হয়ে মহারাষ্ট্র সফরেও নাকি ‘সিরিয়াস’ ছিলেন না। জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ডাক পাওয়ার পর জোর গলায় এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শাহাদাতের পাল্টা হুঙ্কার, ‘সুযোগ যখন পেয়েছি, কাজে লাগাব। জাতীয় দল থেকে যাতে আর কেউ আমাকে বাদ দিতে না পারে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছর ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন শাহাদাত। তাহলে মাঝখানে কী এমন ঘটল যে শাহাদাতকে দলে ফিরিয়ে আনা হলো? প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের উত্তর, ‘মহারাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে পারফর্ম করতে না পারলেও পরের দিকে সে ভালো খেলেছে।’
আর শাহাদাতের ‘সিরিয়াস’ না থাকার ব্যাপারটা? প্রধান নির্বাচক সেটা স্বীকার করলেন, আবার করলেনও না, ‘আগে দু-একটা অভিযোগ শাহাদাতের বিরুদ্ধে ছিল। সেগুলোর জন্য তাকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে দু-তিন মাস ধরে সে খুবই সিরিয়াস।’ আর শাহাদাত সরাসরিই বলে দিলেন, ‘এই অভিযোগ ঠিক না। মহারাষ্ট্রের বিপক্ষে পারফরম্যান্সের জন্যই তো আবার দলে ফিরলাম! আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফেরার পর আমি অনেক দিন অসুস্থ ছিলাম, একদিন তো হাসপাতালেও থাকতে হয়েছে।’ শাহাদাতের দাবি, ‘জিম্বাবুয়ে সফরে ডলারকে পাঠানোর আগে আমাকে অনেক খুঁজেছিল বোর্ড। কিন্তু আমি অসুস্থ ছিলাম।’
শাহাদাতও মনে করেন, সমালোচনাটা শাহাদাত আর আগের শাহাদাত নেই বলেই হচ্ছে, ‘সবাই চায়, আমি জোরে বল করি। মাঝখানে বলের গতি কমে যাওয়াতেই দল থেকে বাদ পড়ি, এত সমালোচনা। এবার খেলার সুযোগ পেলে আবার আগের মতো বল করব।’
কিন্তু ওয়ানডেতে যে শাহাদাত বরাবরই পেছনের সারির বোলার! ৪৩টি ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত ৪১.২৪ গড়ে উইকেট ৪১টি। তাহলে কি এবার নতুন কোনো শাহাদাতকে দেখবে ওয়ানডে?

No comments

Powered by Blogger.