গাজা সীমান্তে গণপ্রতিবাদ: ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজার সীমান্তে সপ্তাহের দ্বিতীয় গণপ্রতিবাদে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে ইসরাইলিদের হাতে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন প্রতিবাদকারী। ওদিকে, গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার কমপক্ষে ১৫০ ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কর্মকর্তারা আহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানান নি।
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ফিলিস্তিনের ওই ভূখণ্ডে দশক পুরনো সীমান্ত অবরোধের প্রতিবাদ চলবে কয়েক সপ্তাহ ধরে। আজকের গণ-প্রতিবাদ ছিল দ্বিতীয় দফায় প্রতিবাদের ঘটনা। ইসরাইলের অভিযোগ, কট্টরপন্থী গ্রুপ হামাস প্রতিবাদের আড়ালে ইসরাইলের সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে। সেই সাথে হুশিয়ারি দিয়ে ইসরাইল বলেছে, যারা সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যাবে তারা নিজেদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
আজ শুক্রবার সীমান্ত বেড়ার কয়েক শ মিটার দুরে আয়োজকদের স্থাপিত ৫টি তাবুতে অবস্থান নেয় হাজারো ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে একটি ক্যাম্পের অ্যাক্টিভিস্টদের কয়েকটি ছোট গ্রুপ জুমার নামাজের পর সীমান্ত বেড়ার কাছে চলে যায়।
বার্তা সংস্থা এপির সংবাদকর্মীদের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রতিবাদকারীরা ইসরাইলি স্নাইপারদের দৃষ্টি আটকানোর চেষ্টায় টায়ারের স্তূপে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে করে ঘন কালো ধোঁয়া উদগীরণ হতে থাকে। ওদিকে, ওপার থেকে তাজা গুলি, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট আর জল কামান দিয়ে জবাব দিতে থাকে ইসরাইলি সেনারা।
প্রথম দফায় টায়ারে আগুন দেয়ার পরপরই বেশ কয়েকজন তরুণ-যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ক্যাম্পে স্থাপিত ক্লিনিকে আসতে শুরু করে।
ইসরাইলি বাহিনীর গোলাগুলিতে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ জন নিহত হয়েছে। তবে আল জাজিরার খবরে নিহতের সংখ্যা ৪ বলা হচ্ছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় থেকে শুক্রবার বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী গত সপ্তাহে প্রতিবাদকারীদের ওপর ‘অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ’ করেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিরস্ত্র প্রতিবাদকারীদের ওপর প্রাণঘাতী বল প্রয়োগ বেআইনি বলে নিন্দা জানিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.