প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্যের গবেষণা প্রবন্ধ নকল করে প্রকাশ এবং বিদেশে সম্মেলনে উপস্থাপন করার প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৮তম সভায় জানানো হয়, ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক, গবেষণা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে ওই তিন শিক্ষককে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি তদন্তের জন্য ও অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নির্ধারণ করতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই শিক্ষকেরা হলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ-আল-বারী ও এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাসান আলী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে মিতসুবিশি মোটরসের টেকনিক্যাল রিভিউতে (নম্বর-১৬) প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধের প্রায় শতভাগ নকল করে ওই তিন শিক্ষক ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ভলিউম-২ ইস্যু-১) এবং আইসিএমআইএমই ২০১৩-এ দুটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। ওই প্রবন্ধের বিষয়বস্তু, ফলাফলসহ অন্য লেখকের গবেষণার সঙ্গে প্রায় শতভাগ মিল পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে উপাচার্য মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকেরা বিদেশে সেমিনারে এবং পরে একটি জার্নালে তাঁদের ওই পেপার প্রকাশ করেন। পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসে। সেগুলো দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় সত্যতা নিরূপণের জন্য পাঠানো হয়। ওই সব জায়গা থেকে প্রকাশিত পেপার প্রায় শতভাগ নকল বলে জানানো হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মুহাম্মদ মাছুদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। মো. হাসান আলী দেশের বাইরে থাকায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। মো. আব্দুল্লাহ-আল-বারী মুঠোফোনে বলেন, এ ধরনের কোনো কাজ তিনি করেছেন কি না, তা তাঁর মনে নেই। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।

No comments

Powered by Blogger.