ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেন : ঈদে ভোগান্তি কমাতে সংস্কার

আসন্ন ঈদুল ফিতরে মানুষের নির্বিগ্নে যাতায়াত করতে সংস্কার করা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেবে যাওয়া অংশে ঈদের পূর্বে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করবেন কর্তৃপক্ষ। রমজান শুরু হবার আগ থেকেই ফোরলেনের বিভিন্ন অংশের সংস্কার কাজ চলতে দেখা যাচ্ছিল। এখন এই সংস্কার কাজের গতি আরো বেড়ে উঠেছে। রবিবার (১১ জুন) সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের মিরসরাই উপজেলার বাদামতলীয় এলাকায় সড়কের সংস্কার কাজ করছেন শ্রমিকরা। আবার কোথাও কোথাও সড়কের দেবে যাওয়া ও উঁচু নিচু অংশ কাটিং মেশিন দিয়ে কেটে সংস্কার চালাতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে মিরসরাই সদরের বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের অংশ, মিঠাছরা বাজারের বাইপাসের বিভিন্ন অংশে, হাদিফকিরহাট, নিজামপুর, চিনকি আস্তানা, সোনাপাহাড়ের বিভিন্ন অংশে সড়কের কোথাও কোথাও উঁচু নিচু হয়ে গেছে, অনেকটা আলু ক্ষেতের আইলের মতো উঁচু নিচু লাইন হয়ে গেছে সড়কে। এতে যানবাহনগুলো অনেক সময় নিয়ন্ত্রন রাখতে না পেরে ঘটাচ্ছে দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ও ঘটে এইসব গর্ত আর উঁচু নিচু ডিবিতে। গত সপ্তাহে মিঠাছরা অংশে অতিরিক্ত দেবে যাওয়া অংশ সংস্কার করছিলেন। এসময় কর্মব্যস্ত শ্রমিক,
সুপারভাইজার, প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে এভাবে এতো দ্রুত ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেনের মতো সড়ক কেন দেবে যাচ্ছে জানতে চাইলে রেজা কনষ্ট্রাকশন এর সহকারি প্রকৌশলী তারাপদ সরকার বলেন সড়কের ওভারলোডিং যতোক্ষন বন্ধ হবে না ততোক্ষন এই সড়ক বেশী সময় টেকসই রাখা সম্ভব নয়। একই মন্থব্য করলেন কর্মরত সড়কের সুপারভাইজার নীল কমল ও । তারা একমত যে এই রুটের বড়দারোগারহাট স্কেলটি নামে মাত্রই সক্রিয়। নিত্য ওভারলোড যানবাহন চলছেই । কমেনি বরং বেড়েছেই। অনেকে এই ওভারলোড়িং কন্ট্রোলকে সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় অথবা অধীনে পরিচালনার পরামর্শও দেন। এই সড়কের নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রী চৌধুরী বোরহান উদ্দিন জানান, আমি দুবছর আগে ও এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকালে অনিশ্চিত থাকতাম যে কখন পৌছুবো ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম। এখন অনেকটা আশ্বস্থ যে, বড় ধরনের কোন বিপত্তি না হলে একটা নির্ধারিত সময়ে পৌছাবো । তবে এখন সড়কটির দেবে যাওয়া ঝুকিপূর্ণ বিষয়গুলোর স্থায়ী সমাধান বিশেষ করে ওভারলোডিং কন্ট্রোল না করলে সড়ক বিভাগকে সারাবছরই সড়ক সংস্কার করতে হবে। আর এক্ষেত্রে একলেন বন্ধ করে আরেক লেন চালু রেখে সংস্কার করতে হয়। তাতে ফোর লেন করে আর লাভ কি হলো। অথবা সরকারে পরিকল্পনাধিন ছয়লেন শুধুমাত্র মালামাল পরিবহনকারী ওভারলোড় গাড়ীর জন্যই করার দাবী করেন তিনি। এই বিষয়ে চারলেন প্রকল্পের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও সওজ এর চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন, আমরা এবারের ঈদের আগেই চারলেনের ঠিকাদার থেকে কাজ বুঝে নেব। তাই ওরা সংস্কার ও ফাইনাল লেয়ার দিয়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন আমরা আশা করছি এবারের ঈদ যাত্রা হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সকল যাত্রীদের জন্য দুর্ভোগহীন আনন্দময় যাত্রা।

No comments

Powered by Blogger.