মার্কিন কূটনীতিকদের উপস্থিতি কমাতে চায় ভেনিজুয়েলা

প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো ভেনিজুয়েলায় মার্কিন কূটনীতিকদের উপস্থিতি কমাতে চান এবং এখন থেকে মার্কিন পর্যটকদের ভিসা প্রয়োজন হবে। একে দু’দেশের মধ্যে ক্রমান্বয়ে উত্তেজনা বেড়ে চলার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেন, শনিবার ঘোষিত এসব পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ভেনিজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন নাক গলানো ‘নিয়ন্ত্রণ’ করা।
মাদুরো রিপোর্টারদের বলেন, ‘আমাদের দেশকে রক্ষা করতে... আমি ভেনিজুয়েলায় প্রবেশ করছে এমন সকল নাগরিকের জন্য ভিসা বাধ্যতামূলক করা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ নতুন ব্যবস্থার আওতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের কাছ থেকে যে পরিমাণ ভিসা ফি নেয় ভেনিজুয়েলাও মার্কিন নাগরিকদের কাছ থেকে একই পরিমাণ ফি নেয়া শুরু করবে। তবে ঠিক কবে থেকে এই নতুন পরিকল্পনা কার্যকর হবে তা পরিষ্কার নয়।
তবে নতুন এই বিধি-নিষেধের কারণে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ ভেনিজুয়েলায় বিনিয়োগে আগ্রহী ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে দেয়া বক্তৃতায় মাদুরো বলেন, কারাকাসে যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ জন কূটনৈতিক স্টাফ রয়েছে অথচ ওয়াশিংটনে ভেনিজুয়েলার মাত্র ১৭ জন স্টাফ রয়েছে।
মাদুরো কূটনৈতিক মিশনের আকারের ক্ষেত্রে ভিয়েনা কনভেনশনের রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমতার নীতির কথা উল্লেখ করে তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কারাকাসে মার্কিন দূতাবাসের মার্কিন কর্মকর্তার সংখ্যা হ্রাস, সমন্বয় ও সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে বলা হয়, দূতাবাস কর্মকর্তার সংখ্যা হ্রাস বা ভিসা সংক্রান্ত কোনো বিষয় তাদের জানানো হয়নি। তবে মার্কিন প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, কারাকাস ভেনিজুয়েলা সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তিরাষ্ট্র জড়িত বলে অব্যাহতভাবে যে অভিযোগ করে যাচ্ছে তা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।

No comments

Powered by Blogger.