সরকারের মনের সংস্কার প্রয়োজন

নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় অবসরে পাঠানো র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর পঁাচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে পাঠক শামীমের মন্তব্য: গ্রেপ্তার হয়েছে জেনে ভালো লাগল। কিন্তু এটা যেন লোক দেখানো না হয়। পাশাপাশি তঁাদের অন্য অপরাধীদের মতো রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের চেয়েও ভয়ংকর অপরাধের কাহিনি বেরিয়ে আসতে পারে। সাইদুল কবির: ভাগ্যিস হাইকোর্ট ধরতে বলেছিলেন। না হলে দেখা যেত সরকার কী করে?
আয়ুব আলী: সরকার আবারও প্রমাণ করল, সরকার ইচ্ছা করলে পুলিশ প্রশাসন সব করতে পারে। সরকার চায় না বলেই অনেক অপরাধী ধরাছেঁায়ার বাইরে থেকে যায়। সৈয়দ কল্লোল: মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হই—আমরা কতই না বিচিত্র এক জাতি! অপরাধ করলে সমালোচনা করি, অপরাধী না ধরলে সমালোচনা করি, ধরলেও সমালোচনা করি, বিচার পছন্দমতো না হলেও সমালোচনা করি। যে সরকার আমাদের মনে এই মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছে—তার সমালোচনা করি কিন্তু ঘুরেফিরে সুবিধাভোগের আশায় এই লোকদেরই নির্বাচনে নির্বাচিত করি! আমরা আসলে কী?
র‌্যাবের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেল?
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের কয়েকজন সদস্যের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর র‌্যাব বিলুপ্তির কথা উঠেছে। এর সমালোচনা করে পাঠক আনিসুর রহমানের মন্তব্য: র‌্যাবের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি, তবে অবশ্যই সংস্কারসহ জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন। সাহিদুল ইসলাম: দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গুম-খুনের দায় সরকারের। সরকারই এদের বিরোধী দল নিধনে ব্যবহার করে আসছে। এ এস মাহমুদ: র‌্যাবকে সংস্কার না করলেও তেমন সমস্যা হবে না। সবার আগে সরকার ও সরকারি দলের নেতাদের মনের সংস্কার করা প্রয়োজন।
রাজীব চৌধুরী: র‌্যাবের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে তাদের, যারা র‌্যাবকে দলীয় স্বার্থে দলের কর্মীর মতো ব্যবহার করেছে। আমরা জনগণ র‌্যাবের বিলুিপ্ত চাই না। আমরা বিলুিপ্ত এবং নির্মূল দেখতে চাই দুর্নীতিগ্রস্ত এবং গডফাদার নামক রাজনৈতিক নেতাদের। মো. আবদুর রশীদ: র‌্যাবের বিলুপ্তি নয়, সংস্কার চাই। ভয়জাগানো কালো পোশাক ও মাথায় বঁাধা কালো পট্টি বাদ দিতে হবে। তাদের মানবিকতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বাছাই করে র‌্যাবের দুষ্ট সদস্যদের বাদ দিতে হবে। কেবল সন্ত্রাসীদের দমনের কাজে তাদের ব্যবহার করতে হবে।
কফিনে করে ফিরছে বাংলার বীরেরা
সৌদি আরবসহ প্রবাস থেকে কফিনে আসা ব্যক্তিদের বীর অ্যাখায়িত করে এই কলাম লেখা হয়েছে। এ রকম ছয় বছরে ফিরেছে ১৪ হাজার জন৷ কলাম নিয়ে পাঠক আমিনুলের মন্তব্য: খুবই বাস্তব সত্য কথা। সরকারের নীতিনির্ধারকদের এ বিষয়ে এখনই এগিয়ে আসতে হবে। মাসুদ পারভেজ: চিৎকার করে কঁাদতে ইচ্ছা করছে, তবে পারছি না। আচ্ছা আমাদের জাতীয়তা কী হবে? দুবাই থাকলে প্রবাসী। দেশে গেলে বলে বিদেশি। বিয়ে করতে গেলে বলে দুবাইওয়ালাকে মেয়ে বিয়ে দেব না। রেজা: অসাধারণ লেখা! প্রবাসী ওই সব পরিশ্রমী ভাই যথাযথ সম্মান বা অধিকার যেন পান, সরকারের তা দেখা দরকার। মরছি আমরা যারা সাধারণ তারা। কান্নার রোল উঠবে স্বজন হারানো বাড়িতে। তাদের চোখের জল আমাদের নেতাদের দৃষ্টিতে আসবে না।
প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্র চলছে
দেশে ‘প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী একচ্ছত্র ক্ষমতার চর্চা করেন৷ সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়েছে৷ টিআইবির তৈরি ‘বাংলাদেশের জাতীয় শুদ্ধাচার-ব্যবস্থার বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে৷ পাঠক ইকবাল হোসেন: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যতটা ক্ষমতার অধিকারী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ততটা ক্ষমতার অধিকারী নন। হেলাল: কথাটা শতভাগ সত্য, আর এ জন্যই চলছে সব নিয়ম-কানুনবহির্ভূত কাজকর্ম! এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের অনৈতিক কাজকর্মের হালচাল! এস দেওয়ান: বাংলাদেশে আবার দুই নায়কতন্ত্র কবে চলল?
জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া কি দুই নায়কতন্ত্র চালিয়েছিলেন? গণতন্ত্রের নামে দেশে নেতাতন্ত্র চলছে। শফিক রহমান: কঠিন সত্য ভাষণ। কিন্তু করণীয় কী? আমাদের জনপ্রতিনিধিরা (যদিও ৫০ শতাংশই অনির্বাচিত) তঁারা কি কোনো পদক্ষেপ নেবেন, না যতটা সম্ভব নিজের আখের গোছাবেন? আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী যে ক্ষমতা ভোগ করেন, তা প্রাচীন আমলের কোনো রাজা-বাদশাহও মনে হয় ভোগ করতেন না। ওনার নির্দেশ বা সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া কিছুই হয় না। বেশির ভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত। এই দেশ কীভাবে যে চলছে, একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
‘এখানে ছাত্রলীগ ভাড়া পাওয়া যায়’
পাওনা টাকা আদায়ে কাজ করছে ছাত্রলীগ। এ নিয়ে লেখা এই কলামে সুরঞ্জিত কুমারের মন্তব্য: ভালোই লিখেছেন৷ তবে সমস্যা হলো কার জন্য আপনারা লিখছেন? আমরা জনগণই ঠিক নেই। মো. আনোয়ার হোসেন: ছাত্রলীগের জন্য একটা নির্দিষ্ট পোশাক ডিজাইন করা যেতে পারে, যেখানে লেখা থাকবে—‘ভাড়ায় চালিত’। রফিকুল ইসলাম: দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে তাদের ইনকাম করতে হবে না?

No comments

Powered by Blogger.