বিশ্বজিত হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদন্ড

দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আজ বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

৪ঠা ডিসেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ১৮ ডিসেম্বর  দিন ধার্য করেছিলেন।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে পথচারী বিশ্বজিত দাসকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা নির্মমভাবে পেটায় ও কোপান। বাঁচার জন্য দৌঁড় দিলে তিনি শাঁখারীবাজারের রাস্তার মুখে পড়ে যান। রিকশাচালক রিপন তাঁকে রিকশায় তুলে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা বিশ্বজিতকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় বিশ্বজিত লক্ষ্মীবাজারের বাসা থেকে শাঁখারীবাজারে নিজের দর্জি দোকানে যাচ্ছিলেন। হত্যার ঘটনায় ওই রাতে সূত্রাপুর থানায় মামলা করে পুলিশ।
পরদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এরপর সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ২ মাস ২৪ দিন পর ৫ই মার্চ ২১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
অভিযোগপত্রভুক্ত ২১ আসামির মধ্যে কারাগারে আটক আসামিরা হলেন, রফিকুল ইসলাম শাকিল (চাপাতি শাকিল), গোলাম মোস্তফা, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, এইচ এম কিবরিয়া, কাইউম মিয়া টিপু ও সাইফুল ইসলাম। বাকি ১৩ জন ঘটনার পর থেকেই পলাতক। এরা হলেন রাজন তালুকদার, খন্দকার মো. ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন ইমরান, আজিজুর রহমান আজিজ, মীর মো. নূরে আলম লিমন, আল-আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। অভিযুক্তরা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মী।

No comments

Powered by Blogger.