আফগানিস্তান নিয়ে নয়াদিল্লির ভীতি প্রশমন করার চেষ্টা

নয়াদিল্লির ভীতি প্রশমনের চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি তিনি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। বাইডেন গতকাল প্রথমে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তাঁর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিসহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও একজন শীর্ষ বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা। ২০১০ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পর ভারত সফরকারী সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ এই মার্কিন কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই দুই গণতন্ত্রের অভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনারা বিদায় নিলে সেখানকার পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে ভারতীয় নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। অনেকের ভয়, মার্কিন সেনারা চলে গেলে পাকিস্তান লাভবান হবে। ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনীর অভিযানে আফগানিস্তানের কট্টর ইসলামপন্থী তালেবান সরকারের পতন ঘটার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিকে ২০০ কোটি ডলারের বেশি সাহায্য হিসেবে দিয়েছে ভারত। তালেবান বাহিনী তখন পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরিকল্পিত আলোচনা গত মাসে ভেস্তে গেলেও ভারতের অনেকেরই শঙ্কা, তালেবান আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্লেষক সিমা সিরোহির এক লেখায় নয়াদিল্লির আশঙ্কার প্রতিফলন ঘটেছে। সিরোহি লিখেছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার অন্যতম প্রস্তাবক হিসেবে বাইডেনই এর ব্যাখ্যা দিতে পারবেন যে, কেন মার্কিনরা কাবুলের চাবি পাকিস্তানি জেনারেলদের হাতে তুলে দিয়েছে। সিমা সিরোহি লিখেছেন, আমেরিকানরা বাস্তবতা থেকে তাদের চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে, তবে ভারতের পক্ষে তা করা অসম্ভব। বাইডেনকে এটা বুঝতে হবে। ভারতীয় ও মার্কিন কর্মকর্তারা বাইডেনের এই সফরকে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ আরও অনুকূল করার সুযোগ হিসেবেও দেখছেন। দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক ব্যবসার অঙ্ক এখন প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই। বাইডেন গত সোমবার সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছান। কাল বৃহস্পতিবার তিনি সেখান থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.