ব্রিটিশ সিংহাসনের নতুন উত্তরাধিকারী ছেলে

নতুন উত্তরাধিকারী পেল ব্রিটিশ রাজপরিবার। সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে  গত সোমবার ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী ডাচেস অব কেমব্রিজ কেট মিডলটন। কেনসিংটন প্যালেস জানিয়েছে মা ও নবাগত শিশু উভয়েই সুস্থ আছে। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে শিশুসন্তান নিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন রাজদম্পতি। হাসপাতাল ছাড়ার আগে কেট ও উইলিয়াম নবাগত শিশুকে কোলে নিয়ে হাস্যোজ্জ্বল মুখে হাসপাতালের বাইরে গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে আসেন এবং নবজাতকের ছবি তুলতে দেন। তাঁরা সাংবাদিকদের জানান, এখনো রাজপরিবারের নতুন অতিথির জন্য তাঁরা একটি নাম খুঁজছেন। কিছুদিনের মধ্যে শিশুটির নাম জানানো হবে। পরে রাজদম্পতি শিশুটিকে নিয়ে একটি গাড়িতে করে কেনসিংটন প্যালেসে যান।  এদিকে ব্রিটিশ রাজপরিবারকে নতুন অতিথি উপহার দেওয়ায় কেট-উইলিয়াম দম্পতিকে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসিয়েছেন বিশ্বনেতারা। রাজপরিবারের ঐতিহ্য অনুযায়ী উইলিয়াম-কেট দম্পতির সন্তানের জন্মের সংবাদটি বাকিংহাম প্যালেসের সামনে টানিয়ে দেওয়া হয়। সেটি পড়তে সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে হাজারো ব্রিটিশ। রাজসিংহাসনের এই তৃতীয় উত্তরাধিকারীর জন্মের বিষয়টি তোপধ্বনির মাধ্যমে উদ্যাপন করা হবে। প্রসববেদনা ওঠায় সন্তানসম্ভবা কেটকে সোমবার পশ্চিম লন্ডনের প্যাডিংটনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এদিন স্থানীয় সময় বিকেল চারটা ২৪ মিনিটে সেখানে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। জন্মের সময় শিশুটির ওজন ছিল সাড়ে তিন কেজি। কেটকে হাসপাতালে নেওয়া থেকে শুরু করে সন্তানের জন্মের সময় এবং তারপর সারা রাত ওই হাসপাতালেই কাটিয়েছেন প্রিন্স উইলিয়াম। কেট-উইলিয়াম দম্পতি এক বিবৃতিতে সেন্ট মেরি হাসপাতালের সব কর্মীকে তাঁদের ‘অসাধারণ’ সেবা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাকিংহাম প্যালেসের একজন মুখপাত্র জানান, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও ডিউক অব এডিনবরা রাজপরিবারে নতুন অতিথির আগমনে উৎফুল্ল। রাজসিংহাসনের প্রথম উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, প্রথমবারের মতো দাদা হতে পেরে তিনি খুব গর্বিত ও আনন্দিত। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, এটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্ত। প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ায় প্রিন্স উইলিয়াম ও কেটকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা তাঁদের জন্য সর্বাঙ্গীণ সুখ ও কল্যাণ কামনা করছি।’ গতকাল পর্যন্ত অভিনন্দন জানানোর তালিকায় রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড, কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেসহ আরও অনেকে। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে কেটকে বিয়ে করেন ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের দ্বিতীয় উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম। বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.