মিয়ানমারে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

মুসলমান ও বৌদ্ধদের মধ্যে নতুন করে সৃষ্ট দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমারের মিখতিলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। ওদিকে থাইল্যান্ডে শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন।
গতকাল এ খবর দিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট ও সিএনএন। এতে বলা হয়, গত কয়েক দিনে মিখতিলার দাঙ্গায় নিহত হয়েছে বেশ কয়েক জন । পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অনেক বাড়ি, মসজিদ। এ পর সেখানে দাঙ্গা প্রকট আকার ধারণ করে। এ অবস্থায় গতকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। মিখতিলার সব জায়গা এখন চোখে পড়ে সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছে। প্রতিটি মোড়ে, ব্যাংকের সামনে পাহারা বসিয়েছে সেনারা। গত বুধবার এখানে স্বর্ণ ব্যবসায়ী এক মুসলিম দোকানদার ও দু’বৌদ্ধ দোকানির মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে এই দাঙ্গার সূত্রপাত। গত বছর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে দু’বার দাঙ্গা হয়। তারপর সেই একই রকম দাঙ্গা এবার দেখা দিল মিখতিলায়। তবে সর্বশেষ এ দাঙ্গার জন্য আসলে কোন পক্ষ দায়ী তা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে মিখতিলার এক লাখ অধিবাসীর মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ মুসলমান। তারা এখন ভয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন। তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে গেলে অগ্নিনির্বাপকদের বাধা দিয়েছে বৌদ্ধরা। শহরের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে দাঙ্গা পুলিশ। তারা বৌদ্ধ মতাবলম্বী দাঙ্গাকারীদের হাত থেকে ম্যাচ, হাতুড়ি কেড়ে নিয়েছে। কমপক্ষে ৫টি মসজিদ পুড়িয়ে দিয়েছে বৌদ্ধরা। ভয়ে হাজার হাজার মুসলমান তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে। তবে মিখতিলার বিরোধী দলীয় এমপি উইন হেইন বলেছেন, সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। প্রায় ৬০০০ মুসলমান আশ্রয় নিয়েছে একটি স্টেডিয়ামে ও একটি পুলিশ স্টেশনে। ওদিকে গতকাল থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের শরণার্থীদের একটি শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। থাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ কথা বলা হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক।

No comments

Powered by Blogger.